মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হংকংয়ের সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভের অন্যতম নেতা তরুণ জোশুয়া ওংকে আবারও গ্রেপ্তার করা হল। বিক্ষোভকারীদের আসন্ন বিক্ষোভের পরিকল্পনা সামনে রেখে ২৩ বছর বয়সী জোশুয়াকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে হংকং পুলিশ। একই দিন আরেক গণতন্ত্রপন্থী নেতা আগ্নেস চৌ’কে গ্রেপ্তার করা হয়। জোশুয়া ও আগ্নেসের আগে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে অ্যান্ডি চান নামের অপর এক স্বাধীনতাপন্থি নেতাকে। খবর বিবিসি।
জোশুয়ার রাজনৈতিক দল ডেমোসিস্টো’র পক্ষে থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭:৩০ মিনিটের দিকে একটি ট্রেন স্টেশন থেকে আচমকা জোরপূর্বপক একটি গাড়িতে ঢুকিয়ে তুলে নেয়া হয় তাকে। তাকে ওয়ান চাইয়ে হংকং পুলিশের সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, জোশুয়া ও আগ্নেসকে অননুমোদিত সমাবেশে যোগ দিতে জনগণকে উস্কানি দেয়ার সন্দেহে ও জেনেশুনে অননুমোদিত সমাবেশে অংশগ্রহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনের মধ্যে জোশুয়ার বিরুদ্ধে, অননুমোদিত সমাবেশ আয়োজনেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উভয় নেতার গ্রেপ্তার ২১ জুনে পুলিশ সদরদপ্তর ঘেরাও দিয়ে বিক্ষোভ করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
অন্যদিকে অ্যান্ডি চানের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, দাঙ্গা সৃষ্টি ও এক পুলিশকর্মীকে হামলার অভিযোগ। তাকে বৃহ¯পতিবার রাতে হংকং থেকে জাপান যাবার একটি ফ্লাইটে ওঠার সময় গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, শনিবার একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগের দিনই জোশুয়া ও আগ্নেসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে টানা ১৩ সপ্তাহের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে হংকং সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশ নিরাপত্তাজনিত কারণ দর্শিয়ে শনিবারের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা অনুমতি ছাড়াই সমাবেশে নামবে।
উল্লেখ্য, চীনের অংশ হলেও ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে সাবেক বৃটিশ কলোনিটির। গত ৯ জুন হংকং সরকারের কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিষয়ক একটি বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি হংকংয়ের বিচার ব্যবস্থায় চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে বিক্ষোভটি এখন আরো বড় আকার ধারন করেছে। বিল বাতিলের বিক্ষোভ থেকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে। আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, বিক্ষোভে হস্তক্ষেপ করতে পারে চীন। বৃহস্পতিবার চীনের সামরিক বাহিনীর একটি নতুন ব্যাচ হংকংয়ে প্রবেশের পর এই আশঙ্কা আরো বেড়েছে। সাম্প্রতিক বিক্ষোভগুলো নেতৃত্বহীন হিসেবেই আখ্যায়িত হয়ে আসছে। তবে অনেকের জন্য জোশুয়াকে নেতার ভূমিকায় দেখে থাকেন। তিনি ২০১৪ সালে হংকংয়ের ‘আমব্রেলা প্রটেস্ট’ বা ছাতা বিক্ষোভে নেতৃত্বদানের ভূমিকা পালন করেছিলেন। ওই বিক্ষোভে ভূমিকার জন্য তাকে আটক করেছিল পুলিশ। জুন মাসে কারাদণ্ড শেষে মুক্তি পান তিনি। কয়েক সপ্তাহ না যেতেই ফের গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।