রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ৮ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে এক প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পশ্চিম রামজীবন গ্রামে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের পশ্চিম রামজীবন গ্রামের জহির উদ্দিনের সৌদিতে কর্মরত ছেলে আশরাফুল ইসলামের সাথে একই ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার জর্ডানে কর্মরত মেয়ে বিলকিছ আক্তারের ফেসবুকের মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে প্রেম চলে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে প্রেমিক যুগল বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওযার সিদ্ধান্ত নেয়। বিয়ের বিষয়টি প্রেমিক যুগল স্ব-স্ব পরিবারকে জানায়। সে মোতাবেক অভিভাবক মহলেও একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়াসহ একাধিকবার আপ্যায়নের ঘটনা ঘটে। এ সুযোগে প্রেমিক আশরাফুল প্রেমিকা বিলকিছের কাছ থেকে দফায় দফায় ৬ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। ছেলে মেয়ে উভয়ের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে গত ১২ আগস্ট কোরবানির ঈদের দিন তারা উভয়ে দেশে ফিরে আসে। এদিকে দেশে ফেরার পর প্রেমিক বিয়ের দিন তারিখ অস্বীকার করে প্রেমিকাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং গোপনে অন্যত্র বিয়ে করার পায়তারা করে। প্রেমিকা তা জানতে পেরে ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রেমিক আশরাফুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। এরপর ঘটনাটি এলাকাবাসীর নজরে আসলে গত ২৪ আগস্ট দুপুরে ইউপি সদস্য সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে প্রেমিক আশরাফুলের বাড়িতে একটি সালিশ-বৈঠক বসে। সালিশে প্রেমিক প্রেমিকার উপস্থিতিতে তাদের প্রেমের ঘটনাটি ও টাকা লেনদেনের সত্যতা পেলে ওই দিনই এশার নামাজের পর বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মেয়ে পক্ষ বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকলে প্রেমিক পক্ষ সালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কিছু কুচক্রী মহলের সহয়োগিতায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করলে দু-পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া প্রেমিককে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়ে ওই রাতেই কয়েকজন যুবক প্রেমিকার অবস্থান করা ঘরে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরদিন ২৫ আগস্ট দিন দুপুরে প্রেমিক পক্ষের ভাড়াটিয়া কিছু যুবক প্রেমিকাকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা চালালে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে তারা ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে প্রেমিকা বিলকিছের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কয়েক দফায় আশরাফুলকে ৬ লক্ষাধিক টাকা দেয়া হয়েছে। সালিশ বোর্ডের সভাপতি সিরাজুল হক জানান, কথা বার্তা সব ঠিকই ছিল। কিন্ত বিয়ের কিছুক্ষণ আগে কিছু লোকের সহযোগিতায় প্রেমিক আশরাফুল বিয়ে করতে অস্বীকার করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। এনিয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম আব্দুস সোবহান জানান, ঘটনাটি শুনেছি কিন্তু এ পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।