বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলায় চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালীমের আদালতে এই অভিযোগ গঠন করা হয়।
বিগত ২০১৫ সালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলাটি হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আসামিদের সবাই আদালতে হাজির ছিলেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, অর্ধেক আসামিও আদালত কক্ষে ঢুকতে পারেননি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ তা তারা শুনতে পারেননি। যা আইনের বরখেলাপ। আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও আমরা কোন প্রতিকার পাইনি।
তবে ব ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মনোরঞ্জন দাশ বলেন, আদালত সব আসামির সামনে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু করেছেন। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ২০১৫ সালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ২০১৫ সালে নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ করে ২০-দলীয় জোট। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসলাম চৌধুরীসহ ৩০২ জনকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় মামলা করে। ২০১৮ সালের ৪ জুলাই পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের তিনটি ধারায় পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ৯ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগপত্রগুলো গ্রহণ করেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু ছাড়াও মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি মো. এনামুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীসহ মহানগর ও জেলা বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতারা আসামি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।