মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নয় বছর বয়সেই আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম পর্বত মাউন্ট কিলিমানজারো জয় করে ফেলেছে ভারতীয় শিশু আদভাইত ভারতিয়া। তানজানিয়ায় অবস্থিত এই পর্বত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯ হাজার ৩৪১ ফুট উঁচু। অনেক শিশুর কাছে মাউন্ট কিলিমানজারোর নামটাই অজানা থাকলেও আদভাইত সেই দলে নেই। এত অল্প বয়সেই এমন অসাধ্য সাধন করে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেছে সে। খবর ইন্ডিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমীর পাঠামের নেতৃত্বে গত ৩১ জুলাই মাউন্ট কিলিমানজারো জয় করে ভারতের পুনের বাসিন্দা আদভাইত। শুধু এটুকুই নয়, এর আগে ২০১৬ সালে মাত্র ছয় বছর বয়সে মাউন্ট এভারেস্টের বেজ ক্যাম্প পর্যন্তও গিয়েছিল সে!
কিলিমানজারো জয়ের পর অনুভ‚তি জানাতে গিয়ে আদভাইত বলেছে, ‘কিলিমানজারোতে ট্রেকিং করা খুবই কঠিন কাজ ছিল, কিন্তু একই সঙ্গে অনেক মজাও হয়েছে। এভারেস্টের বেজ ক্যাম্পে তাও কাঠের ঘরে থাকতে পেরেছিলাম, কিলিমানজারোতে কেবল তাঁবুতে রাত কাটাতে হয়েছে। চারপাশে বরফ আর বরফ, এর মধ্যে তাঁবুতে সারা রাত! অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল।’
এত অল্প বয়সে কিলিমানজারো জয় করতে গিয়ে ভয় তো দ‚রের কথা, আদভাইতের দাবি, চাইলে আরও আগেই এই পর্বতের চ‚ড়ায় উঠতে পারত সে! তার দাবি, ‘আমি আরও আগেই ট্রেকিং শেষ করতে পারতাম। কিন্তু পর্বতটা এত সুন্দর, আমি সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চ‚ড়ায় উঠেছি।’ কিলিমানজারো জয় করতে কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে জানতে চাইলে আদভাইত জানায়, প্রাকৃতিক অক্সিজেনের স্বল্পতা ও মাইনাস ২১ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই তার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে।
আদভাইতের মা পায়েল ভারতিয়া জানিয়েছেন, কিলিমানজারো জয়ের জন্য দুই মাস ধরে কঠিন প্রস্তুতি নিয়েছে তার ছেলে। তিনি বলেন, ‘দুই মাস ধরে ও প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে সাঁতার কাটত, ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা টেনিস খেলে কার্ডিওভাস্কুলার ট্রেনিং করত, ১০০ সিঁড়ি ওঠানামা করত ও পার্কার (এক ধরনের সামরিক অনুশীলন) অনুশীলন করেছে।’
আদভাইত এখানেই নিজেকে থামিয়ে রাখতে চায় না। এভারেস্ট-কিলিমানজারোর পর এবার তার নতুন লক্ষ্য ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এলব্রæস। আগামী বছর এই পর্বত জয়ের উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করার কথা আছে তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।