মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে হংকং। বিক্ষোভকারীদের দমাতে হংকং পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করলেও তাতে দমছেন না তারা। এবার বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে চীন। গত বুধবার চীনের আধাসামরিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত পিপলস আর্মড পুলিশের একটি বাহিনীকে শেনঝেন শহর থেকে রওনা হতে দেখা যায়। ফলে স্পষ্টত তারা বিক্ষোভ প্রশমিত করার প্রস্তুতি নিয়েছে। সুসজ্জিত সামরিক গাড়িতে চড়ে তারা জড়ো হয়েছে হংকং-এর অদূরে বে স্পোর্টস সেন্টারে। বিক্ষোভকারীদের কড়া বার্তা দেয়ার জন্যই চীন আধা সেনাদের হংকং সীমান্তে জড়ো করেছে বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও পিপলস আর্মড পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দমনে শক্তিপ্রয়োগ করবে কি-না তা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ সামরিক ব্যবস্থা নিলে সেখানকার অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে।
চীনের পিপলস আর্মড পুলিশ হলো ১৫ লাখ সদস্যের এক আধাসামরিক বাহিনী। চীনের অভ্যন্তরে অশান্তি থামানোর জন্য তাদের পাঠানো হয়। ওই বাহিনী চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের অধীনে। তার শীর্ষে আছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। হংকং সহায়তা চাইলে সংবিধান মেনে সেখানে চীনের অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব। হংকং-এর নিজস্ব সংবিধানে বলা আছে, নগর প্রশাসন প্রয়োজনে চীনের গণফৌজের থেকে সাহায্য চাইতে পারে। গণফৌজের ৬ হাজার সৈনিক সব সময়েই হংকং-এ থাকে। তবে নগর প্রশাসন যদি সামাল দিতে না পারে তখনই চীনের সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া যেতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও হংকং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হংকং-এর অবস্থা এখনই হাতের বাইরে চলে গেছে বলা যাবে না। চীন সম্ভবত আধা সেনা জড়ো করে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে একটা বার্তা দিতে চাইছে। কিন্তু একইসঙ্গে ওই অফিসার বলেছেন, চীন যদি ইচ্ছা করে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হংকং-এ বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটাতে পারে। গত জুন মাসে হংকং-এর একটি বন্দি প্রত্যর্পণ বিলকে ঘিরে শুরু হয়েছে অশান্তি। ওই বিল অনুযায়ী, হংকং-এ কেউ অপরাধ করলে চীনের মূল ভূখÐে নিয়ে গিয়ে তার বিচার করা যাবে। তবে সেই বিল হংকংবাসীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করতে পারে ধারণা করে বিলটি প্রত্যাহারের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই বিল ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তাতেও বিক্ষোভ থামেনি।
অপরদিকে, হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের চলমান সংঘাতে সৃষ্ট গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটের বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হংকংয়ের ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভকে চীনের প্রেসিডেন্ট ‘দ্রæত ও মানবিকভাবে’ আয়ত্তে আনতে পারবেন বলে নিশ্চিত ছিলেন ট্রাম্প। এক টুইটে এ কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প টুইটে লেখেন, ‘শি জিনপিং একজন মহান নেতা, যাঁকে তাঁর জনগণ সম্মান করে।’ ‘ব্যক্তিগত বৈঠক, প্রশ্নটি দিয়ে টুইট শেষ করেন ট্রাম্প।
হংকংয়ে একটি বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে ১০ সপ্তাহ ধরে চলমান গণতন্ত্রপন্থী সরকারবিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে এমন মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কয়েক দিন ধরে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পর গত মঙ্গলবার রাতে সেখানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়। এদিকে বিক্ষোভকারীদের কর্মকাÐকে ‘প্রায় জঙ্গিবাদের মতো’ বলে সমালোচনা করেছে চীন। বিক্ষোভকারীরা তাদের আন্দোলনে চীনের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছেন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন কিছু হওয়ার আশঙ্কা নেই। অন্যদিকে হংকংইস্যুতে চীনকে সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোলটন। মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব যুক্তরাষ্ট্রকে বোলটন বলেন, ‘সাবধানে পা ফেলুন, কারণ তিয়েনআনমেন স্কয়ারের কথা যুক্তরাষ্ট্রর জনগণের মনে আছে।’ বোলটন জানান, ১৯৮৯ সালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে চীনা সেনাবাহিনীর হামলা করার মতো কাজ আবারও করলে ‘বড় ভুল’ করবে চীন। সূত্র : সিনহুয়া, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।