বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। ইতোমধ্যেই মিয়ানমার থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর হয়ে কাঠের ট্রলারবোঝাই করে আসছে এসব পশু। এর মধ্যে রয়েছে গরু ও মহিষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) একদিনেই মিয়ানমার থেকে সাগরপথে টেকনাফে এসেছে প্রায় তিন হাজার পশু। মিয়ানমার থেকে আসা এসব পশুর দাম কম হওয়ায় তা দেদারসে কিনছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টেকনাফে আসা ব্যবসায়ীরা। এদিকে, পশু আমদানি বেশি হওয়ায় ভালো অঙ্কের রাজস্বও পাচ্ছে সরকার।
শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলার খালাস করে শাহপরীর দ্বীপ করিডোরের পাশে একটি বড়সড় মাঠে পশু রাখা হয়েছে। এখান থেকেই এসব পশু কিনছেন ব্যবসায়ীরা। আজ ১৫টি ট্রলারে মিয়ানমার থেকে মোট দুই হাজার ৯৬৪টি পশু আমদানি করেছেন মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ শহিদ, আবু সৈয়দ, আবুল কাশেমসহ আরও কয়েকজন। এর মধ্যে দুই হাজার ৬২৮টি গরু, বাকিগুলো মহিষ। এর আগে ৬ আগস্ট রাতে সরকারের নির্দেশে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ রাখা হয়। পরদিন সকালে আবার উপজেলা প্রশাসন জানায়, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানিতে বাধা নেই।
আমদানিকারক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘অন্য দিনের চেয়ে দামও কিছুটা কম। আমার কাছে প্রায় ৩০টি গরু আছে, বাকিগুলো মহিষ। এসব পশু ৬২ হাজার টাকা করে বেপারিদের কাছে বিক্রি করেছি। কোরবানির আগে আরও পাঁচ শতাধিক পশু আমদানি করার কথা রয়েছে।’
চট্টগ্রামের গরু ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ বলেন, ‘গত বছরের মতো এবারও টেকনাফ থেকে গরু কেনার জন্য এসেছি। তবে এবছর ব্যবসা ভালো হবে না মনে হয়। কেননা, এবছর শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে গরুর দাম চড়া। গত বছর যে গরু ৬০ হাজার টাকা ছিল, এবছর সে গরুর দাম ৯০ হাজার টাকার বেশি।’
ঢাকার ব্যবসায়ীদের জন্য গরু কিনে থাকেন জানিয়ে টেকনাফের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘পশু আমদানি ক্রমাগত বাড়ছে। যেসব পশু মিয়ানমার থেকে আনা হচ্ছে, সেগুলো ব্যবসায়ীরা কিনে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন।’
টেকনাফ উপজেলা পশু আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ জানান, শুরুতে গতবছরের তুলনায় পশু আমদানি কম হয়েছে। তবে এখন আমদানি বেড়েছে।
অভিযোগের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘প্রচুর পশু আমদানি হলেও করিডোরে নেই কোনও ব্যাংক ও কাস্টমস অফিস; এমনকি নেই পশু রাখার সুব্যবস্থাও। এজন্য নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমদানিকারক ও পাইকারদের।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি হচ্ছে। পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর ক্ষেত্রে পথে যেন কোনও রকম চাঁদাবাজি না হয়, নজরে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি গরুর গাড়িতে করে কেউ যাতে অস্ত্র ও মাদক বহন করতে না পারে, সে দিকে সতর্ক নজর রয়েছে।’
টেকনাফের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ময়েজ উদ্দীন বলেন, ‘আজ একদিনেই প্রায় তিন হাজার পশু এসেছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার। আমরা মিয়ানমার থেকে পশু আনতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করছি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।