পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
লিন্ডসে লোহান সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) ঘাড় মালিশ করছেন বলে পেজ সিক্স-এ খবর প্রকাশিত হয়। এরপর সউদী আরবের ভবিষ্যত শাসকের রহস্যময় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
এ খবর থেকে জানা যায় যে বস্তুত এমবিএসের একজন স্ত্রী আছেন। সূত্র জানায়, যে যদিও কার্যত তার স্ত্রীর ব্যাপারে কোনো তথ্য সহজলভ্য নয়। তবে বিশ্ববিচরণশীল যুবরাজ নীরবে শাহজাদি সারা বিনতে মাশুর বিন আবদুল আজিজকে বিয়ে করেছেন।
বিভিন্ন খবর মতে, সম্ভবত ২০০৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের তিন বা চারটি সন্তান রয়েছে। গত বছর যুবরাজ মোহাম্মদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তিনি তার সাথে ছিলেন না। তার প্রকাশ্য কোনো ছবি নেই। তাকে ‘বারবি প্রিন্সেস’ নামে পরিচিত শাহজাদি সারা বিনতে তালাল ইবনে আবদুল আজিজ আল সউদের সাথে গুলিয়ে ফেলার সুযোগ নেই। পিতার সাথে দুরবস্থার শিকার হয়ে তিনি লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি এমবিএসের চাচাতো বোন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, এমবিএস ও তার শাহজাদি স্ত্রী বর্তমানে তাদের সন্তানদের নিয়ে জেদ্দায় লোহিত সাগর তীরস্থ গ্রীষ্মাবাস আল-সালাম রাজকীয় প্রাসাদে অবস্থান করছেন। সূত্র জানায়, যে শাহজাদি তার মেজাজের জন্য পরিচিত, ঠিক এমবিএসের মতই। তবে গত বছর সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার নির্দেশদাতা বলে অভিযুক্ত এমবিএসের বিষয়ে এ তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত নয়।
তবে গত সোমবার পেজ সিক্স-এর রিপোর্ট মোতাবেক গুজব অব্যাহত রয়েছে যে এমবিবিএস অভিনেত্রী লোহানের সাথে আনন্দ-বিলাসে সময় কাটাচ্ছেন। লোহান আংশিক ভাবে দুবাইতে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্যে তিনি এক বিরাট তারকা। এমবিএস তার ব্যক্তিগত বিমানে লোহানকে নিয়ে ঘোরেন। তাকে উপহার মোড়া ক্রেডিট কার্ড দেন। অন্যান্য সূত্র জানায়, লোহান তার ও ক্ষমতাশালী সউদী যুবরাজের মধ্যকার অত্যন্ত গোপনীয় টেক্সট মেসেজগুলো অন্তরঙ্গ বন্ধুদের প্রদর্শন করেন।
লোহানের এক প্রতিনিধি অত্যন্ত জোরের সাথে তাদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্ক বা সউদী যুবরাজ কর্তৃক লোহানকে ক্রেডিট কার্ড দেয়ার কথা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বরং এ কথা বলেন যে লোহান ও এমবিএসের মধ্যে মাত্র একবারই এক ফরমুলা ওয়ান গ্র্যাঁ প্রি রেসে দেখা হয়েছিল। এ বিষয়ে সউদী দূতাবাসের কোনো প্রতিনিধি নিউইয়র্ক পোস্টের সাথে কথা বলেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।