ইরানের চলমান কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতারা যদি সোচ্চার না হন তাহলে অকল্পনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে তেলের দাম। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ‘সিবিএস নিউজ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন সউদী যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান।

মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সউদী আরব ও ইরানের যুদ্ধ বাঁধলে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি বেশ ক্ষতির মুখে পড়বে বলেও সাক্ষাৎকারে বলেছেন যুবরাজ সালমান। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের তেলের চাহিদার ৩০ শতাংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। বিশ্বের জিডিপির ৪ শতাংশের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘চিন্তা করুন এই বিষয়গুলো যদি হঠাৎ বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে শুধু সউদী অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, পুরো বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংস হবে।’

উল্রেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে সউদী আরবে দুটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার পর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই হামলায় সেদিন ১৮টি ড্রোন আর ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছিল। যার ফলে সউদী আরবের তেল উৎপাদন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সউদী আরব এই হামলার জন্য তার আদি শত্রু ইরানকে দায়ী করে আসছে। যদিও ইয়েমেনের হাউসি বিদ্রোহীরা এর এর দায়ভার স্বীকার করেছিলো। যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করেছে যে ওই হামলার পেছনে ‘ইরানই দায়ী ছিল’।

সাক্ষাৎকারে গত বছর তুরস্কের সউদী দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়েও কথাবার্তা হয়। এ ব্যাপারে তিনি আরো দায়িত্ব নেবেন বলেন জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, ‘সউদী একজন নেতা হিসেবে আমি এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছি, বিশেষ করে সউদী সরকারের হয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের দ্বারা যেহেতু এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’

সউদী রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচনার জন্য তিনি নিজে সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে সউদী যুবরাজের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করেছেন তিনি। এই বিষয়ে আদৌ তার কোন তথ্য ‘জানা ছিল কিনা’ সেই অভিযোগও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি।