নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর অ্যাডহক কমিটির অধীনে পরিচালিত হওয়ার পর কাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন শনিবার। এদিন সকাল দশটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সভাকক্ষে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ১২০ জন কাউন্সিলর ২৮ জনকে নির্বাচিত করতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এই নির্বাচনে দু’টি প্যানেলে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থীরা। চেঙ্গিস-শাহ আলম পরিষদের ব্যানারে এক প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দু’বারের সাধারণ সম্পাদক মো: ইব্রাহিম চেঙ্গিস ও সাবেক সহ-সভাপতি মো: শাহ আলম। অন্যদিকে ফারুক-মন্টু পরিষদের ব্যানারে আছেন সর্বশেষ অ্যাডহক কমিটির সহ-সভাপতি ফারুকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। এ দুই পরিষদের বাইরে এককভাবে নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর এসএম শাহাদাত হোসেন সোহেল।
সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এনএসসি নির্বাচন না দিয়ে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অ্যাডহক কমিটির হাতে
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের দায়িত্ব তুলে দেয়। যে কমিটিতে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিসকে পেছনে ফেলে নতুন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। এতোদিন অ্যাডহক কমিটির অধীনেই চলছিল এই ফেডারেশনের কার্যক্রম। এবার নির্বাচন মুখী হলো তারা। প্রজ্ঞাপন জারির পর দু’টি প্যানেল দাঁড়িয়ে যায় নির্বাচনে অংশ নিতে। এতে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের (ফোরাম) সমর্থন পায় ফারুক-মন্টু পরিষদ। যেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু। অন্যদিকে চেঙ্গিস-শাহ আলম পরিষদে এই পদের প্রার্থী শাহ আলম। সাধারন সম্পাদক পদের ত্রিমুখী লড়াইয়ে আরেকজন হচ্ছেন শাহাদাত হোসেন সোহেল। ফারুক-মন্টু পরিষদ ২৮টি পদেই প্রার্থী দিয়েছে। চেঙ্গিস-শাহ আলম পরিষদ দিয়েছে ১১ পদে প্রার্থী।
পাঁচ সহ-সভাপতি পদের জন্য দুই প্যানেলের হয়ে লড়বেন নয়জন। এর মধ্যে ফারুক-মন্টু প্যানেলের পাঁচ ও চেঙ্গিস-শাহ আলম প্যানেলের চার জন। এরা হলেন- মো: ইব্রাহিম চেঙ্গিস, এস এম মোর্তাজা রশিদী দারা, নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, মো: আমজাদ আলী খান, মো: কিতাব আলী, মো: জায়েদুল আলম, মো: তোফাজ্জল হোসেন, মো: ফারুকুল ইসলাম ও মো: মজিবর রহমান মল্লিক। একটি সাধারণ সম্পাদক পদের বিপরীতে লড়ছেন তিনজন- অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু, মোহাম্মদ শাহ আলম ও এসএস সাদাত হোসেন সোহেল। দুই যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন ফরিদ খান চৌধুরী, মো: ইকবাল হোসেন, মো: মিজানুর রহমান ও মো: হাবিবুর রহমান এবং একটি কোষাধ্যক্ষ পদেও জন্য লড়ছেন মহিউদ্দিন আহমদে মোস্তাক ও মো: জামাল হোসেন। এছাড়া ১৯টি সদস্য পদের জন্য লড়বেন দু’প্যানেলের ২৩ জন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে চেঙ্গিস-শাহ আলম পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী ইব্রাহিম চেঙ্গিস বলেন, ‘আমি নিজে খেলোয়াড় ছিলাম। টানা দু’বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকও ছিলাম। ওই সময়ে আমি কি করতে পেরেছি তা অ্যাথলেটরাই ভালো বলতে পারবেন। আমি মাঠের মানুষ, আমৃত মাঠেই থাকতে চাই। নির্বাচিত হলে নিজের দক্ষতা দিয়ে সবার সঙ্গে মিলে অ্যাথলেটিক্সের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আশাকরি কাউন্সিলররা আমাকে নির্বাচিত করে অ্যাথলেটিক্সের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবেন।’
অন্যদিকে ফারুক-মন্টু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবদুর রকিব মন্টু বলেন, ‘গত আড়াই বছরে দেশের অ্যাথলেটিক্স উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি আমরা। এই সময়ে বিদেশের প্রায় সব ক’টি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের অ্যাথলটরা। অ্যাথলেটরা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই কাউন্সিলররা আমাদেরকেই বেছে নিবেন। সে লক্ষ্যেই জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। আশাকরি নির্বাচিত হলে অ্যাথলেটিক্সের উন্নয়নে কাজ করে যাবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।