নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ^কাপ হাতাশা কাটাতে সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন তামিম ইকবাল। স্বপ্ন ছিল প্রথমবারের মতো পাওয়া পূর্ণাঙ্গ সিরিজের অধিনায়কত্বকে রূপ দিতে পারবেন সফলতায়। সেই আশা আর স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়েছে এক লহমায়। তিনটি ম্যাচের একটিতেও শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তা পেল না বাংলাদেশ। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের জয়ের সঙ্গে ছিফোঁটা কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সই কেবল রইলো সান্ত¡না হয়ে। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর তাই নিজের ও দলের সব ব্যর্থতা মেনে নিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
কখনো হতাশায় দিয়েছেন মাথায় হাত, কখনো দু’চোখ বন্ধ করে সয়েছেন ব্যর্থতার ছবি। শ্রীলঙ্কা সফর জুড়েই টিভি পর্দায় ভেসে এসেছে তামিমের এমন ছবি। নিজে রান পাননি অধিনায়কত্বের ভার তাই বিশাল বোঝা হয়েই ঠেকেছে তার। দল হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর আর অজুহাতের কোন পথও ছিল না। তামিম নিজের দায় নিয়ে দাঁড়াচ্ছেন তিক্ত পরিস্থিতির সামনে, ‘প্রথম দিন থেকে আমি বলছি, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দায়িত্ব নেওয়া। আমি ১২ বছর ধরে খেলছি, অন্যরাও দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। হতাশার ব্যাপার হলো, দলের প্রয়োজনের সময় আমরা দায়িত্ব নিতে পারিনি। এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে এবং ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নিচে থাকা শ্রীলঙ্কা এক রকম উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে জিতেছিল তারা ৯১ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেট। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১২২ রানে। হারের ব্যবধানই বলে দেয় সব ম্যাচেই ব্যাটিং-বোলিং ছিল হতাশার। ফিল্ডিং ছিল যাচ্ছেতাই। সিরিজ শেষে পারফরম্যান্স বিশ্লেষণে ইতিবাচক কিছু সামান্যই খুঁজে পেলেন তামিম। নেতিবাচক দিক দেখছেন অনেক কিছু, ‘তাইজুলের পারফরম্যান্স ছিল সত্যিকারের ইতিবাচক দিক, সবশেষ দুই ম্যাচে যেভাবে বোলিং করেছে, তা খুব প্রয়োজনীয় ছিল। আমার নিজের পারফরম্যান্স থেকে শুরু করে দলের পারফরম্যান্স, নেতিবাচক দিক অনেক আছে। আমাদের শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে এবং ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
তামিমের নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স ছিল সিরিজের সবচেয়ে হতাশার দিকগুলোর একটি। বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচের কেবল একটিতে ফিফটি করার পর এই সিরিজে ৩ ম্যাচে দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান করেছেন ২১ রান। নিজের পারফরম্যান্সে হতাশ তিনি নিজেও, ‘বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এই সিরিজে, আমি নিজেকেই হতাশ করেছি। এমন নয় যে আমি চেষ্টা করিনি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, হয়তো আমি যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। আমাকে ফিরে গিয়ে গভীরভাবে দেখতে হবে, দুর্বলতা নিয়ে কাজ করতে হবে এবং শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।