রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়ারহাট অংশের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে সৌর্ন্দয নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ময়লার গন্ধে মহাসড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নাভিশ্বাস চরমে। মীরসরাই ও বারইয়ারহাট পৌরসভা ছাড়াও মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলছে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপরেই এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়। কেউ দেখেও দেখছেনা যেন। এখন আর প্রতিবাদও করছে না কেউ। অনেকেই বলছে আর কতো প্রতিবাদ করবো। কারো কথাই কেউ যেন শুনছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট পৌরসভা অংশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জোন। উক্ত পৌরবাজারে ব্যবসায়ী সংখ্যা কয়েক হাজার। কয়েকটি রুটের বাস স্টান্ডসহ পার্বত্য ও কয়েক জেলার যাতায়াতের বিকল্পহীন জোন এই চৌমুহনি এলাকাটি। প্রতিদিন পার্বত্য এলাকাসহ ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, রামগড়সহ বিভিন্ন রুটের ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী লক্ষ যাত্রী প্রায় বারইয়াহাট বাজার হয়ে বিভিন্ন স্থানে গন্থব্যে ছোটে। আর সকল মানুষের মধ্যে বিশাল অংশ চট্টগ্রাম মুখি যাতায়াত।
এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দূলপাল্লার যাত্রীরাও চলাচল করছে নিয়মিত এই সড়ক হয়ে। সাধারণ খেটে খাওয়া দরিদ্র থেকে শুরু করে সমাজের উঁচু শ্রেণীর কোটিপতি কিংবা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্ণধার। এমনটি এমপি মন্ত্রী মহোদয়গণ ও এই মহাসড়কের ময়লা বেয়েই চলাচল করতে হচ্ছে নিয়মিত। বারইয়াহাট পৌরবাজারের সামান্য দক্ষিণ পাশে রাস্তার পূর্ব পাশে পৌরসভার সকল ময়লা আবর্জনা পৌর কর্তৃপক্ষ এনে এখানে ঢালছে। আর তা পাশবর্তী নিচু স্থানে ফেলতে ফেলতে এখন মহাসড়কের প্রায় ৭ ফুট পিচওয়েও দখল করে নিয়েছে ইতোমধ্যে। প্রতিদিন যানবাহনে চলাচলকারীরা তো এই মহাসড়ক দিয়ে যেতে দুর্গন্ধ নাক চেপে পার হচ্ছেনই। আবার পথচারি, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ জনগণ মহাসড়কসহ দখল করায় রাস্তার মাঝ দিয়েই প্রায়শই দুর্গন্ধ আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মতো দেশের গুরুত্বপূর্ণ ফোর লেনের ওপর এভাবে ময়লা আবর্জনার স্তুূপ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারইয়াহাট পৌর বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা নানাভাবে এই আবর্জনার ভাগাড় সরানোর বিষয়ে অনেকবার মৌখিকভাবে বলেছি, কিন্তু কারো কথা শুনছেই না। অপর জনৈক ব্যবসায়ী বলেন আমরা বার বার এই পৌরসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের পাশে পৃথক ময়লার স্তুপ নিয়ে কথা তুলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
এই বিষয়ে বারইয়াহাট পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা এই বিষয়ে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
উক্ত বিষয়ে ফোরলেন-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সওজ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, আমরা এই বিষয়ে মৌখিক সহযোগিতা চেয়েছিলাম। এখন বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিকভাবে কার্যকর উদ্যোগ নিবো শীঘ্রই। কিন্তু এই কার্য়কর উদ্যোগ প্রকৃতপক্ষে কখন হবে তা অজানা পৌরবাসির কারন। এভাবে সবাই প্রতিশ্রুতি দিয়েই যাচ্ছেন বার বার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।