বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার নয় বছর পর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৪ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌনে ১২টার দিকে রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। শুনানির সময় সাঈদীর আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। তবে আদালত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
মামলার অভিযোগে সাঈদীর বিরুদ্ধে হত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় মোট ১১০ জন আসামীর মধ্যে ৬ জন বিভিন্ন সময়ে মারা গেছে। এর আগে গতকাল বেলা ১১টার দিকে মাওলানা সাঈদীকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সরাসরি আদালতে নেয়া হয়। এ সময় আদালত চত্ত¡রে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে পুলিশ। এছাড়া আদালত চত্ত¡রে অবস্থান নেয় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট ক্রাইম রেসপন্স টিম-সিআরটি এবং র্যাব সদস্যরাও।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শিরাজী শওকত সালেহীন এলেন বলেন, সাঈদীসহ ১০৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আদালত বিচারকার্যের তারিখ পরবর্তীতে নির্ধারণ করবেন। তবে হত্যায় সাঈদীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, সাঈদী আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। হত্যাকাণ্ডে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি আদালতের কাছে সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন।
ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু মো. সেলিম । তিনি বলেন, মামলার এজহারে সুনির্দিষ্ট করে ৩৫ জন এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল। সে হিসেবে আসামি হবে ৫৫-৬০ জন। কিন্তু আসামি করা হয় ১১০ জনকে। তার মধ্যে ছয় জন মারা যাওয়ায় ১০৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ফারুক হত্যার ব্যাপারে সাঈদী রাজশাহীতে এসে গোপন বৈঠক করেছেন এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ।
তবে আসামীপক্ষের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম জানান, ফারুক হত্যার আগের দিন জামায়াতের এক সমাবেশে সাঈদী ছাত্রলীগ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু হত্যার কথা বলেন নি বা নির্দেশও দেন নি। এমন কি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে তিনি চিনতেনও না। কাজেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।