Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘আলবিদা’ বলেই প্রেমিকজুটির শেষ বিদায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৯, ৫:৩১ পিএম

২৩ জুলাই সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে ফেসবুকে নিজের ওয়ালে দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেছিল 'আলবিদা'। এই স্ট্যাটাসের পর থেকেই নিখোঁজ ছেলেটি। পরিবারের পক্ষ নিখোঁজের কারণে চলছিল খোঁজও। দিন গড়াতেই জানা গেল, শহরের একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীও নিখোঁজ। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ততক্ষণে শহরজুড়ে জানাজানি হয়ে গেছে, সদ্য কৈশোর পেরনো দুই তরুণ তরুণী মূলত নিখোঁজ নয়, একসাথেই পালিয়েছে, প্রেমের কারণে। দুজন দুই ধর্মের হওয়ায় এ নিয়ে বিব্রত দুই পরিবার চেষ্টা করছিল তাদের খুঁজে বের করার। কিন্তু নিয়তির কী নির্মম পরিহাস। দুই দিন পর আজ ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালেই জানা গেল, যুগলভাবেই আত্মহত্যা করেছে এই দুই তরুণ-তরুণী।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কের বরগাং এলাকায় হ্রদের জলে দুই লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে প্রথমে মেয়েটির এবং পরে ছেলেটির লাশ উদ্ধার করে।
শহরের রিজার্ভবাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ছোটন দেওয়ানজির পুত্র প্রান্ত দেওয়ানজি হিমেল (১৮) এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এলাকার শহীদ তালুকদারের কন্যা তাহফিমা খানম তিন্নি (১৮)। হিমেল ঢাকার ক্যামব্রিয়ান কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আর তিন্নি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী। ছেলেটির বাসা রাঙামাটি শহরের রিজার্ভবাজার এলাকায় আর মেয়েটি রাঙামাটিতে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে পড়াশোনা করছিল।
রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানিয়েছেন, এটি একটি ঘোষণা দিয়েই আত্মহত্যার ঘটনা। প্রেমের কারণেই এটি ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দুজন দুই ধর্মের হওয়ায় প্রেমে সফলতার কোনো সম্ভাবনা নেই দেখেই তারা আবেগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে।
হিমেলের পিতা ছোটন দেওয়ানজি বলেন, তারা দুজন প্রেমের কারণেই আত্মহত্যা করেছে বলেই মনে হচ্ছে। আমরা আসলে কিছুই জানতাম না। ভেবেছিলাম কোনো কারণে নিখোঁজ হয়েছে। কিন্তু কেন এটা করল বুঝতে পারছি না।
অন্যদিকে মেয়েটি তার যে স্বজনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করত সেই নুরুল আলম মিয়া বলেন, আমরা আসলে কিছুই বুঝতে পারছি না। সে আমার বাসায় থেকে পড়াশোনা করত। কিন্তু কিসের মধ্যে কি হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।
এদিকে সদ্য কৈশোর পেরোনো দুই তরুণ-তরুণীর মৃত্যুতে শোকাহত যেন পুরো রাঙামাটি শহর। অনেকেই ফেসবুকে এই ঘটনায় বেদনা আর হতাশার স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ভালোবাসার এমন করুণ পরিণতিতে বিস্মিত যেন পুরো পার্বত্য শহর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ