Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে

ত্রাণের জন্য হাহাকার

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ৬:০১ পিএম

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি কমতে শুরু করলেও টানা ১১দিন ধরে পানিবন্দী মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে। চারিদিকে শুধু খাদ্যের হাহাকার। পানি কমলেও কোন মানুষ এখনও ঘরে ফেরেনি। সরকারী ভাবে ত্রাণ শুরু হলেও বেশিরভাগ বানভাসীদের কাছে পৌঁছায়নি খাবার। বিশাল এক জনগোষ্ঠী পানি বন্দী হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। পানি বন্দী মানুষ তাদের কাছে ত্রাণ চাইছে। তাদের ভয়ে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র,ধরলা ও দুধকুমোর নদীর পানি এখনো বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বন্দী মানুষ যারা বিভিন্ন বাঁধে এবং স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়ে রাত্রি যাপন করছে চরম দুর্ভোগে তারা পড়েছে। এসব মানুষ বিভিন্ন গবাদী পশুর সাথে গাদাগাদি করে থেকে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পানিতে থাকতে থাকতে জ¦র আর পেটের পীড়া শুরু হয়েছে। অনেকের পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে। গত ৫ দিন ধরে কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী মহাসড়কে ধরলা সেতুর পুর্বপাড়ে প্লাষ্টিকের তাবু বানিয়ে বসবাস করছেন সদর উপজেলার পাঁচগাছী কদমতলা গ্রামের নাসরিন বেগম, জমিরন বেওয়া, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর সবুজপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম মজর আলীর পরিবারসহ শতশত পরিবারের মানুষ।ঘর-বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় এই সড়কের পাশে দুই ধারে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারী বা বেসরকারী কোন সাহায্যই তাদের কপালে জোটেনি বলে জানান এই পরিবারগুলো।

এখন পর্যন্ত বন্যায় ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৮লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৯ ঘরবাড়ী। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হয়েছে। বন্যার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর।
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, মাদ্রাসা ৭০টি, মহাবিদ্যালয় ১৭টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪০টি। অপরদিকে ১হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫৩৬টি। নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে ৪টি। এতে ১ লাখ ৩৫ হাজার শিশুর পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৫ মে.টন জিআর চাল, ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ হাজার ৪২৮ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫৯ সেঃ মিঃ ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ৯০ সেঃ মিঃ আর দুধকুমোর নদীর পানি বিপদ সীমার ৫৭ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 



 

Show all comments
  • LITON ২০ জুলাই, ২০১৯, ৬:৩২ পিএম says : 0
    SOBAI K HELP KORAR JONNO ONUROD KORCHI
    Total Reply(0) Reply
  • LITON ২০ জুলাই, ২০১৯, ৬:৩২ পিএম says : 0
    SOBAI K HELP KORAR JONNO ONUROD KORCHI
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ