বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাজারে প্রচলিত দুধ নিয়ে গবেষণা করা ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সমার্থনে ও ভেজাল মুক্ত খাদ্যের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্ত্বরে ফার্মেসী বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী ও কয়েকজন জন শিক্ষক এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রতিটা খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়েছে বিপদজ্জনক রোগ বালায়। তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের অধ্যাপক ফারুক জনগণের কল্যানে একটি গবেষণা করেছেন যাতে দেখা গেছে বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্যান্ডের দুধে ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি। এ গবেষণা প্রকাশের পরে একজন সরকারি কর্মকর্তার হুমকির মুখে পড়েন তিনি। কোন সরকারি কর্মকর্তা এভাবে একজন গবেষককে হুমকি দিতে পারেন না।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তানভির এহসান বলেন, বিশ্বদ্যালয় গবেষণার স্থান, ফারুক স্যারের এই গবেষণা আমাদের একটি দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। এ গবেষণার বিপক্ষে যারা কথা বলছেন তাদের উচিৎ হবে আরেকটি গবেষণা করে তাদের পণ্যের বিশুদ্ধতা প্রমাণ দেওয়া। স্যারের এই সাহসী কাজের জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষের উচিৎ তার পাশে দাড়ানো।
শিক্ষকদের মধ্যে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রমিজ আহমেদ সুলতান, প্রভাষক মো. রাশেদুল ইসলাম, সুমাইয়া জাহান,নওরিন মনির প্রমা এবং হুমায়রা খানম।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানববন্ধনে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইকবাল, সাইদুল ইসলাম ও দিত্বীয় বর্ষের নুসরাত আফরিন অনামিকা বক্তব্য দেন। তারা বলেন, নিরাপদ খাদ্য আমাদের সবার অধিকার। অধ্যপক ফারুক স্যার যে গবেষণা করেছেন সেটি দেশের ১৭ কোটি মানুষের কল্যানে তাই আমরা স্যারের পক্ষে সমার্থন দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক গত ২৫ জুন বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্যান্ডের দুধের নমুনা পরীক্ষা করে ফল প্রকাশ করেন। যাতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা বলা হয়। এরপর প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর থেকে ওই গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।