মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হংকংয়ের বেইজিংপন্থী নেতা চীনা প্রত্যর্পণ বিলকে মঙ্গলবার মৃত ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, যে বিলের কারণে নজিরবিহীন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা এখন মৃত। তবে বিক্ষোভকারীরা দ্রুতই তার মন্তব্যকে নাকচ করে আরো সমাবেশ করার হুমকি দিয়েছে। এর আগে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ও বেইজিংপন্থী নেতা ক্যারি ল্যাম লাখ লাখ লোকের ব্যাপক বিক্ষোভ এবং সমালোচনার মুখে বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এতে সন্তুষ্ট না হয়ে প্রত্যর্পণ বিল সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ বাতিল এবং তার পদত্যাগ ও গণতান্ত্রিক সংস্কারসহ আরো কিছু দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। গত এক মাস ধরে এই বিক্ষোভ কখনও সহিংস ও কখনও শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। সমালোচকেরা বলছেন, এই প্রত্যর্পণ বিলের কারনে চীন হংকংয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সুযোগ পাবে। হংকংবাসীও এ আশংকার কারণে বিলটির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। সর্বস্তরের লাখ লাখ লোক রাস্তায় নেমে এসেছে। বলা হচ্ছে ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হংকংয়ের হস্তান্তরের পর থেকে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ। খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ক্যারি ল্যাম স্বীকার করেন, এই গণবিক্ষোভ বিলটি নিয়ে তার সরকারের তৎপরতা পুরোপুরি ভন্ডুল করে দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। এর আগে গত মাসে লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে ওই বিলটির জন্য ক্ষমা চান হংকং-এর চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতেরও ঘোষণা দেন তিনি। তবে এরপরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় বিক্ষোভকারীরা। উল্টো চীনের মতো ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশে প্রত্যার্পণের উদ্যোগ নেওয়ায় ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা বিতর্কিত বিলটি স্থায়ীভাবে বাতিলের দাবিতে আওয়াজ তোলে। ইতোপূর্বে কথিত ওই অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলে কোনও কাটছাঁট করা হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন ক্যারি ল্যাম। তবে গণআন্দোলনের মুখে বিলটি স্থগিতের পর উল্টো জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি। সর্বশেষ মঙ্গলবার খোলাখুলি স্বীকার করেন, তার সরকারের ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। মূলত চীন ও তাইওয়ানে অপরাধী প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে হংকংজুড়ে এই গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের মূল ক্ষোভ চীনের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে। বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ মনে করছেন না হংকংয়ের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, বিলটি পাস হলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে। প্রস্তাবিত বিলে সন্দেহভাজন অপরাধীকে চীন ও তাইওয়ানে ফেরত পাঠানোর পথ সুগম করা হয়েছে। রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।