Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জোয়ার এলেই তলিয়ে যায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটভোগান্তিতে যাত্রীরা

ভোলা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

মেঘনা নদীর জোয়ারের ফলে পানিতে ফেরিঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরি চলাচলে মারাত্মক বিঘœ হচ্ছে। একটি মাত্র লোওয়াটার লেভেল নিচু ফেরিঘাট হওয়ায় গত ক’দিন ধরে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের র‌্যাম ও এপ্রোস সড়ক জোয়ার এলেই সকাল-বিকাল পানিতে ডুবে যায়। এতে করে প্রতিদিন ৫/৬ ঘন্টার অধিক ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। বর্তমানে জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করেই ফেরি চলাচল করছে। এতে ইলিশা ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পরিবহন চালক, যাত্রী ও শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, হাই ওয়াটার লেভেল ঘাট নির্মাণ করার জন্য বিআইডবিøউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানালেও তারা ইলিশা ফেরিঘাটে হাই ওয়াটার ফেরিঘাট নির্মাণ করছে না। তবে বিআইডবিøউটিএ বলছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় নতুন ফেরিঘাট নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে ভোলা হয়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাথে সহজ যোগাযোগের মাধ্যম ভোলা-ল²ীপুর ফেরি সার্ভিস। এ রুটে প্রতিদিন তিনটি ফেরিতে শত শত যানবাহন পারাপার করে। অথচ ফেরিতে যানবাহন ওঠা নামার জন্য একটি মাত্র লো ওয়াটার ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় আমবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে এখন ফেরি চলাচলে মারাত্মক বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। গত ক’দিন ধরে জোয়ার এলেই পল্টুন, এপ্রোস সড়ক ও র‌্যাম তলিয়ে যায়। পানির কারনে যানবাহন ফেরিতে ওঠা-নামা করতে পারেনা। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা করে নৌকা ভাড়া দিয়ে ফেরি থেকে তীরে নামছে। এতে করে তাদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে তেমনি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এ ছাড়াও পরিবহন শ্রমিকরাও রয়েছে চরম বিপাকে। ফেরি চলাচল প্রতিদিন ৫/৬ ঘন্টা বন্ধ থাকায় ৩/৪ দিন ধরে ইলিশা ঘাটেই বহু পণ্যবাহি পরিবহকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বাড়ছে এবং ভোগান্তি হচ্ছে।
এদিকে ভোলা-লক্ষীপুর রুটে একটি হাই ওয়াটার ও একটি লো ওয়াটার ঘাট নির্মাণের জন্য পরিবহন শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। বহু টাকা ব্যয় করে একটি মাত্র ঘাট নির্মাণ করা হয়। যা দিয়ে শুস্ক মৌসুমে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বর্ষা মৌসুমে বা নিন্মচাপ হলেই ফেরিঘাট তলিয়ে যায়।
ভোলা ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক মো. এমরান হোসেন জানান, ভোলা-ল²ীপুর রুটে ফেরি পরিচালনার জন্য একটি হাই ওয়াটার ও একটি লো ওয়াটার ঘাট প্রয়োজন। কিন্তু ইলিশাঘাটে একটি মাত্র লো ওয়াটারঘাট রয়েছে। জোয়ারের পানিতে ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ৫/৬ ঘন্টা ফেরির লোড-আনলোড বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ৮ ট্রিপ কম হচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ হচ্ছে। বিকল্প ঘাটের ব্যাপারে বিআইডবিøউটিএকে বলা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোলা বিআইডবিøউটিএ’র নদী বন্দর কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কিয়ারেন্স দিচ্ছে না। পাউবো যখন তীর সংরক্ষণ কাজ করে তখন তাদের প্লানে হাই ওয়াটারঘাট না থাকায় সমস্যা দেখা দেয়। তারপরও ইলিশায় ফেরির জন্য বিকল্প দ্বিতীয় হাই ওয়াটার ঘাট নির্মাণের জন্য প্রচেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে ওই ঘাট নির্মাণে বাজেট হয়েছে। আসন্ন ঈদের আগে তারা আশা করছেন ইলিশায় হাই ওয়াটার ফেরিঘাট নির্মাণ করা হবে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার জানান, বিআইডবিøউটিএ’র কর্মকর্তারা হাই ওয়াটারঘাট নির্মাণে তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। পাউবোর সাথে সমন্বয় করে ঘাট নির্মাণ করলে তাদের কোন আপত্তি নেই।


বরিশাল ও খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ ২৫ দিন
মালিক সমিতির আধিপত্যের দ্ব›দ্ব
বরিশাল ব্যুরো : দুটি জেলার মালিক সমিতির আধিপত্যের দ্ব›েদ্ব গত প্রায় ২৫ দিন ধরে বরিশাল ও খুলনা বিভাগীয় সদরের মধ্যে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত দেড় বছরে বরিশাল ও ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতির দ›েদ্ব অন্তত ১০ বার এ রুটে তিন মাসেরও বেশি সময় বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের দূর্ভোগের কোন সীমা নেই।
ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতি বরিশাল মহানগরীর অদূরে কালীজিরা সেতুর ঝালকাঠী প্রান্তে অস্থায়ী বাস স্ট্যান্ড তৈরী করে সেখান থেকে ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও খুলনা ছাড়াও মঠাবাড়ীয়া, পাথরঘাটা এবং কাঠালিয়া রুটে বাস চালাচ্ছে। ফলে বরিশাল মহানগরীর যাত্রীদের বিভিন্ন যানবাহনে প্রায় ৮ কিলোমিটার দুরে ঝালকাঠী জেলায় প্রবেশ করে খুলনাসহ অন্য রুটের বাসে উঠতে হচ্ছে। খুলনাসহ ঐ অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা কোন যাত্রীবাহী বাসকে ঝালকাঠী জেলা অতিক্রম করে বরিশাল মহানগরীতেও ঢুকতে দিচ্ছেনা ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতি।
সর্বশেষ খুলনা, বাগেরহাট ও পিরোজপুর বাস মালিক সমিতি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বরিশাল ও খুলনার মধ্যে সরাসরি বাস চলাচল শুরু না করলে ঐসব জেলা থেকেও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধের ঘোষনা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে বরিশালে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন একাধিকবার বরিশাল ও ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করেছেন।
ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতির দাবি, তাদের সমিতির বাসগুলোকে চাহিদা মাফিক বরিশালÑখুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো রুটে চলাচলের সুযোগ দিচ্ছেনা বরিশাল বাস মালিক সমিতি। অপরদিকে বরিশাল বাস মালিক সমিতির বক্তব্য, প্রতিটি জেলার অভ্যন্তরে সড়কের দূরত্বের ওপর ভিত্তি করেই দক্ষিণাঞ্চলের বাস মালিক সমিতিগুলোকে বিভিন্ন রুটে চলাচলের হিস্যা নির্ধারন করা হয়ে থাকে। সে হিসেবেই ঝালকাঠী মালিক সমিতির বাসও চলে আসছে। তারা এখন পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও বরগুনা রুটেও বাস চালাতে চাচ্ছে। ২০১৭ থেকে ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতি পুরো দক্ষিনাঞ্চলের পরিবহন ব্যবসায় অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে নানা খোড়া অজুহাতে ঐ জেলার ওপর দিয়ে অন্য জেলাগুলোর বাস চলাচলে একের পর এক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে বলেও অভিযোগ বরিশাল বাস মালিক সমিতির। তবে ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বিকার করে ন্যায্য হিস্যা মাফিক দক্ষিণাঞ্চলের সব রুটে তাদের বাস চলাচলের সুযোগ দাবি করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝালকাঠী ও বরিশালের জেলা প্রশাসনকে দুই বাস মালিক সমিতিকে নিয়ে বসতে বলেছে বিভাগীয় প্রশাসন।

 

পুত্র ও পুত্রবধূ মিলে মারল মাকে
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ে ভিটে ছাড়া করতে শতবর্ষী মাকে মারপিট করেছে ছেলে ও পুত্রবধূ। ছেলে ও পুত্রবধূর মারপিটে আহত শরীর নিয়ে মা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের গলেহা ফুল পাড়া এলাকায়।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, শনিবার দুপুরে ওই এলাকার মৃত সালাউদ্দীনের ছেলে ফারুক হোসেন ও পুত্রবধূ স্ত্রী ইনছানা মিলে মা শতবর্ষী হাফেজা খাতুনকে ভিটে ছাড়া করতে মারপিট করে। এক পর্যায়ে মা হাফেজা খাতুনকে তার আরেক ছেলে সফিকুল উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়। ছেলে সফিকুল ইসলাম তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আর এম ও প্রতীক কুমার বণিক জানান, মারামারি ঘটনায় হাফেজা খাতুন নামে এক বয়স্ক রোগী আমাদের হাসপাতালে এসেছেন। তার শরীরে যে ব্যাথা রয়েছে আমরা তার চিকিৎসা দিচ্ছি।
এদিকে শনিবার রাতেই মা হাফেজা খাতুন বাদী হয়ে ছেলে ফারুক ও পুত্রবধূ ইনছানা ও নাতী রিদয় কে আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় অভিযোগ দায়ে করে। পুলিশ গতকাল রোববার বিকেলে পঞ্চগড় শহরের রৌশনাবাগ এলাকা থেকে ফারুককে আটক করে।

 

কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের নাগেশ^রী উপজেলার পশ্চিম পায়রাডাঙ্গা নলবাড়ী এলাকায় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৪৬) কে হত্যার অপরাধে ৫ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদÐ এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদÐ অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদÐের আদেশ প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুন্সি রফিউল আলম এই আদেশ প্রদান করেন। রায়ে অপর ৩ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করে আদালত। এডিশনাল পিপি নাজমুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালের মাচের্র ১৯ তারিখে উপজেলার পূর্ব পায়রাডাঙ্গার হাশেমবাজার এলাকার মৃত: তমিজ উদ্দিনের পূত্র নজরুল ইসলাম নাগেশ^রী উপজেলা শহরে ব্যবসায়িক কাজ শেষে সঙ্গী মৃত: বহর উল্ল্যাহর পুত্র শাফিসহ বাড়ীতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পশ্চিম পায়রাডাঙ্গা নলবাড়ী এলাকায় শ্রী রণজিৎ সরকারের বাড়ীর কাচারী ঘরের সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা তারই প্রতিবেশী আব্বাছ আলীর পূত্র আব্দুর রহিম (৩০) ও আসাদুজ্জামান ওরফে রাজা (২৪), পশ্চিম পায়রাডাঙ্গা এলাকার আলহাজ¦ আশরাফ আলীর পূত্র সাইফুর রহমান ওরফে হেজী (৩৫), পূর্ব পায়রাডাঙ্গার মৃত: মৃত: টাঙ্গুরা শেখের পূত্র মঞ্জুরুল হক (৪৬), একই এলাকার আব্বাস আলীর পূত্র সৈফুর রহমান ওরফে কাচু (৪০), মকবুল হোসেন (৪৫), আমিনুল (৩৭) ও আব্দুর রশিদ (২৬)সহ অনেকে ধারাল মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধভাবে নজরুল ইসলামকে ঘিরে ফেলে। এসময় আসামী আব্দুর রহিম রাম’দা দিয়ে প্রথমে তার মাথার উপরে আঘাত করে। এরপর অন্যান্য আসামীরাও তার উপর হামলা চালায়। উপর্যুপরী আঘাতে নজরুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পরেন। তার সঙ্গী শাফি প্রাণভয়ে সেখান থেকে আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে পাশর্^বর্তী পিকলু মিয়ার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা সেখান থেকে সটকে পরে। গুরুতর আহত নজরুল ইসলাম রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরে নিহতের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ২০ মার্চ ২০০৮ সালে সকাল ১০টায় নাগেশ^রী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত, চার্জশীট এবং সাক্ষি-প্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ শুনানীর পর রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুন্সি রফিউল আলম এ রায় প্রদান করেন।

 

সুরমা তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
সিলেট ব্যুরো : সিলেটের সুরমা তীরবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট গুড়িয়ে দিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক), জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কাজিরবাজার এলাকায় অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদে যৌথ অভিযানে নামে প্রশাসন। সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবরকে সাথে নিয়ে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃস্টফার হিমেল রিছিল।
এ সময় কাজিরবাজার খেয়াঘাট এলাকায় ৩৩ টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া মাছবাজার এলাকায় আরো অন্তত ৩০ টিসহ শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। সে সাথে অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা মালিকদেরকে জায়গা খালি করে দিতে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খৃস্টফার হিমেল রিছিল জানান- এর আগে অবৈধ দখলদারদেরকে জায়গা খালি করতে নোটিশ প্রদানের পাশাপাশি গত ৩ দিন আগে মাইকিং করা হয়। এসবে কাজ না হওয়ায় অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন- নদীতীর দখল করে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। উচ্ছেদ শুরু হয়েছে, নদীতীর দখলমুক্ত করার আগ পর্যন্ত উচ্ছেদ চলবে।
উচ্ছেদ অভিযানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, সিসিক ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ, কোতোয়ালী থানার ওসি মো. সেলিম মিয়া, ওসি (তদন্ত) রীতা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

 

চাঁদপুরে জজের বাসায় চুরি
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে : চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খানের বাসভবনে রাতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল জেলা জজের বেড রুমের জানালা দিয়ে মশারি কেটে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই সময় পাশের বাসা থেকে চুরি হয় একটি মোবাইল ও ল্যাপটপ। গতকাল রোববার ভোর রাতে শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কে জেলা জজ এর বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, জেলা জজের বাসভবনের চারপাশের দেয়ালে কয়েক স্থানে ভাঙা। জেলার বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যক্তির বাসায় এমন নিরাপত্তাহীনতা জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্বেগ হয়েছে। আদালতের কর্মচারীরা জানান, জেলা জজের বাসায় দায়িত্ব পালন করেন ৪ জন পুলিশ সদস্য। কিন্তু তারা রুটিন অনুযায়ী একই স্থানে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেন। যদি তারা ভবনের চার পাশে নজর দেন এবং হাটাহাটি করেন তাহলে চোর চক্র এ ধরনের সাহস পায় না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোন মাদকাসক্ত চোর কিংবা পেশাগত মোবাইল চোর এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন বলেন, চোর চক্র যে ঘটনা ঘটিয়েছে। তার চাইতে বড় ধরনের দুুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। আল্লাহ রক্ষা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যাত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ