গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১০টার সময় আগুন লাগে। তবে শিক্ষার্থীদের ও সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টায় আগুন লাগার১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে ভেতরে পড়ুয়া শিক্ষার্থেীদের মধ্যে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সুত্রে জানা যায়, সকাল ১০.৩০ টার সময় নিচতলার সার্কিট বোর্ডে আগুন লাগে। সেখানে এসি তারে ও আগুন লাগে। একিভাবে লাইব্রেরীর ৩ তলায় আগুন লাগে। আগুন লাগার ২৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে। ততক্ষনে আগুন ফায়ার এক্নটিংগুইসারের মাধ্যমে গ্যাসের মাধ্যমে আগুন নেভানো হয়।
এদিকে আগুন লাগার পর ভেতেরে অিবস্থিত প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী-কর্মকর্তার মধ্যে আতংক তৈরী হয়। একটা সিড়ে দিয়ে নামতে গিয়ে জটলা তৈরী হয়।
জানতে চাইলে ভেতরে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা হাজারের উপর শিক্ষার্থী ভেতরে ছিলাম।
কিন্তু আগুন লাগার পর একই সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে জটলা তৈরী হয়। বড় ঘটনা ঘটলে আমরা হয়তো জটলার মধ্যে বের হতে পারতামনা।
পরে ফায়াির সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। নীলক্ষেত ও গুলিস্তান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার পর থেকে লাইব্রেরীর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।
আগুন লাগার পরপরই সেখানে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রাশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এছাড়া শাহবাগ থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌছায়।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে কয়েক হাজার ধরণের বই রয়েছে। এছাড়া কিছু দুর্লভ পাণ্ডুলিপি ও ম্যাগাজিনও রয়েছে। সেখানে নিয়মিত দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।