পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
নিজ নিজ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে নিয়োগকৃত সউদী আরবের দুই নতুন রাষ্ট্রদ‚ত। নাম ঘোষণার বেশ কয়েক মাস পরে প্রিন্সেস রিমা বিনতে বন্দর বিন সুলতান ওয়াশিংটনে ও তার ভাই প্রিন্স খালিদ বিন বন্দর বিন সুলতান লন্ডনে সউদী রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সউদী রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ।
রাজপরিবারের সদস্য এই দুই ভাইবোন এমন এক সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, যখন দেশ দুটির সঙ্গে সউদী আরবের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ইয়েমেন যুদ্ধ ও সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাÐের ঘটনায় পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে নতুন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণ আটকে ছিল বেশ কয়েক মাস। গত ফেব্রæয়ারিতে প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের স্থলে প্রিন্সেস রিমার নাম ঘোষণা করা হয়। উপসাগরীয় আরব দেশটির প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রিন্সেস রিমা ওয়াশিংটনে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেছেন।
সউদী আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তুমুল সমালোচনা চলছে। দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চাচ্ছেন মার্কিন সিনেটররা। গত চার বছর ধরে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সউদী নেতৃত্বাধীন জোট বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। এতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে দুর্ভিক্ষের কিনারে গিয়ে ঠেকেছে ইয়েমেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তানবুলের সউদী কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি নির্মমভাবে হত্যাকাÐের শিকার হওয়ার পর প্রিন্স খালিদের ভ‚মিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে। খাশোগি যে হত্যাকাÐের শিকার হয়েছেন, এই সউদী যুবরাজ তা অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ফলে সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাই প্রিন্স খালিদকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে রিয়াদের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়।
চল্লিশ বছর বয়সী প্রিন্সেস রিমা অনুসরণ করছেন তা বাবা বান্দার বিন সুলতান আল সউদের পদাঙ্ক। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সে কারণেই প্রিন্সেস রিমা কার্যত বড় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে এবং পড়ালেখা করেছেন জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৫ সালে সউদী আরবে ফিরে এসে তিনি সরকারী ও বেসরকারি উভয় খাতেই কাজ শুরু করেন। বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, লন্ডনের আগে প্রিন্স খালিদ বিন বন্দর বিন সুলতান জার্মানীতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। সূত্র : গালফ নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।