পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মায় ক্রমেই বাড়ছে ভাঙন তীব্রতা। নিরন্তর নদী ভাঙনে রাজবাড়ীর আয়তন দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। ইতোমধ্যে এ জেলার আয়তনের বড় একটা অংশ মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। অস্তিত্ব নেই অনেক গ্রামের, মৌজার ও ওয়ার্ডের। এর মধ্যে সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ভাঙনের তীব্রতা অনেক।
জানা গেছে, গত এক মাসে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, তীব্র স্রোত থাকার কারণে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকির মুখে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি, বসত ভিটা, স্কুল-মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
স্থানীয়রা জানায়, পদ্মার ভাঙনে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা, দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নে ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। ভারি বৃষ্টি ও পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা। বর্ষা মৌসুমে ভাঙন অতিমাত্রায় বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছে। গত এক মাসে অন্তত কয়েকশ’ একর কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। শতাধিক পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি।
ছোটভাকলা ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী চর বরাট অন্তার মোড় এলাকায় দেখা গেছে, পদ্মা তীরবর্তী আবাদী কৃষি ফসলি জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে। আবাদী জমির ধান, পাট, সবজি খেত নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অন্তার মোড় এলাকার পাকা কার্পেটিংয়ের বাঁধ ও রাস্তার মাথাও ভাঙতে শুরু করেছে। ভাঙন প্রতিরোধে সেখানে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পাথরের ব্লক ফেলছে।
চর বরাট এলাকার সিরাজ খান ও জসিম খা বলেন, প্রায় দুই-তিন সপ্তাহ ধরে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও পদ্মায় পানি বাড়াতে নদীর পাড়গুলো ভাঙতে শুরু করে। ভাঙন আতঙ্কে ইতোমধ্যে বাড়ি ঘরও অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি আমরা।
অপরদিকে পদ্মার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর মজলিশপুর, কাশেমপুর, মহিদাপুর গ্রামের বিস্তৃর্ণ আবাদী জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ স্থাপন করা হলেও ঘাটের উজানে ও ভাটিতে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে অসংখ্য পরিবার। এছাড়া দেবগ্রাম ইউনিয়নের কউয়ালজানি ও দেবগ্রামে ফসলী জমিতে ভাঙন শুরু হয়েছে।
ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ইউনিয়নের চর বরাট, ছোট জলো, গোড়া মারা ও কাওয়ালজানির আংশিক মৌজায় ভাঙনের কবলে পড়ছে। ওই চারটি মৌজার পদ্মা তীরবর্তী হওয়ায় অন্তত ৫০ একার আবাদি কৃষি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে ভারি বৃষ্টি ও পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সাথে বাতাসের ঢেউয়ে পাড়ে আঘাত হানায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এখনই ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে আরো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকার বলেন, ভাঙন রোধে অন্তারমোড় রাস্তার মাথায় আমরা ব্লক ফেলছি। ২০১২ সালে শহর রক্ষা বাঁধের জন্য তৈরি করা অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার ব্লক ফেলা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।