বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আওয়ামীলীগের তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে যাত্রা বিরতি করলে তাঁর কামড়া লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলি বর্ষণ ও হামলার মামলায় ৯ জনেরে ফাঁসি, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড আদেশ হয় বুধবার । এই মামলার রায়কে ঘিরে আজ বুধবার পাবনার আদালত চত্ত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বেলা ১২ টার দিকে পাবনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রোস্তম আলী জানাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে
ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলুও রয়েছেন মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে পাঁচজন বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে মৃত্যু বরণ করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আধা ঘন্টার মধ্যে রায় পাঠ শেষ করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বিগত ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেন বহর নিয়ে রেলপথে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে তাকে বহনকারী ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করলে অতর্কিত শেখ হাসিনার কামড়া লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করা হয়। তবে এই সময় তিনি প্রাণে বেঁচে যান, তাঁকে বহনকারী ট্রেনটি দ্রæত ঈশ্বরদী জংশন ত্যাগ করে। সে সময় সরকারের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
হামলার ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা করে। এ সময় সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়া মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ ১৯৯৬ সালে নারাজি পিটিশন দিলে সেটি মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালাত এবং অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। সিআইডি তদন্ত শেষে মোখলেছুর রহমান বাবলুসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করেন।এই মামলার রায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রদান করা হলো।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় স্পেশাল পিপি ছিলেন, পাবনার সিনিয়র আইনজীবী আলহাজ্ব গোলাম হাসানায়েন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি মাসুদ রানা এবং পরে জেলা জজ ও দায়ারা জজ আদালতের পিবি এ্যাড, আখাতারুজাজামান মুক্তা রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত ।বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা জানান, রায় ষোষণার একদিন আগে পলাতাক ২ জন আসামী মোখেলছুর রহমান বাবলু ও বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম আদালতে হাজির হলে এই দুই জনের জামনি আবেদন না মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। আদালতে রায় ঘোষণার সময় ৩৪ জন আসামী ডকে ছিলেন। তিনি বলেন, ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে। আসামী পক্ষে ছিলেন, আইনজীজী নুরুল ইসলাম গ্যাদা, যুক্তিতর্কের সময় আসামী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে যুক্ত হন সিনি: এ্যাড. সনৎ কুমার, সাবেক পিপি এ্যাড. মাসুদ খন্দকারসহ কয়েকজন আইনজীবী ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।