শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
কুতুবউদ্দিন আহমেদ
বাংলা কবিতার বয়স অদ্যাবধি দেড় সহ¯্র বছরের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছেছে। প্রমাণিত সত্য যে, বাংলা ভাষায় প্রথম কবিতা লিখিত হয়েছিল সপ্তম শতকে। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকেরা এ কবিতাগুলো রচনা করেছিলেন। তাদের লিখিত এ কবিতাগুলো বৌদ্ধ সাধনসঙ্গীত বলে বিবেচিত হলেও কবিতার গুণেমানে মোটেও পিছিয়ে নেই। একটি মানসম্পন্ন কবিতায় যে রসদগুলো একান্ত বাঞ্ছনীয় তার সবকিছুই এ কবিতাগুলোতে পরিপূর্ণ লক্ষ করা যায়। পরবর্তীতে আমরা পাই মধ্যযুগে বড়ু চ-ীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। এ গ্রন্থখানিও সাহিত্যের বিচারে মানোত্তীর্ণ জোর দিয়ে বলা যায়। এ ছাড়াও মধ্যযুগে বেশকিছু মৌলিক কাব্যগ্রন্থ আমরা বাংলা ভাষায় পেয়েছি, যে কাব্যগুলো নিয়ে আমরা অনেক কাব্য করতে পারি। মধ্যযুগের কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম [১৫৪০ Ñ ১৬০০], ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর [১৭১২ Ñ ১৭৬০] বাংলা ভাষার এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কবি। মধ্যযুগের মুসলমান কবিদের দ্বারা লিখিত রোমান্টিক প্রণয়োপক্ষাণগুলো তো বাংলা সাহিত্যের একটি স্বাতন্ত্র্য ও স্বর্ণখচিত ধারা। পরবর্তীতে উল্লেখ্য যুগসন্ধিক্ষণের কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত [১৮১২ Ñ ১৮৫৯]। তিনিই প্রথম আধুনিক বাংলা কবিতার আভাস দিলেন। তাকে দিয়েই শুরু হলো বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের পথচলা। বাংলা ভাষায় তিনিই প্রথম সীমিত বা বলা যায় খ-াকারের কবিতা লিখলেন এবং তাতে স্বর্গে বাসরত দেবদেবির প্রশস্তি থাকলো না বরং থাকলো মর্ত্যরে কথা, মানুষের কথা, সমাজের কথা, রাষ্ট্রের কথা। এককথায় কবিতাকে তিনি স্বর্গ থেকে নামিয়ে আনলেন মাটি ও মানুষের হাতের নাগালে। মধ্যযুগের কিছুটা গন্ধ তার গায়ে মাখানো ছিলো ঠিক কিন্তু আধুনিকতার গন্ধটাই তার গা থেকে বেশি পাওয়া গেল। তার হাতে খ- কবিতা লেখার পটভূমিকা হলো, তিনি সংবাদপত্রের মানুষ। সংবাদপত্রের অফিসে গিয়ে বসেন। সংবাদপত্র নাড়াচাড়া করতে গিয়ে দেশের সমস্যাগুলো চোখে পড়ে, মানুষের শত সমস্যা নিয়ে তিনি চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না। তাই তাৎক্ষণিক চিন্তায় যা মনে আসে তাই তিনি বেঁধে ফেলেন ছন্দের ছাঁচে। এভাবেই ঈশ্বরগুপ্তের হাতে সৃষ্টি হয় বাংলা ভাষার মাটি ও ধূলিমাখা প্রথম খ- কবিতাগুলো; যাকে বলা যায় লিরিক বা গীতিকবিতা।
আমরা যদি বাংলা কবিতার ইতিহাস যাচাই করি এবং যদি নীতিতে সৎ থাকি তাহলে বলতে হয় যে, কবি ঈশ্বরগুপ্তই বাংলা ভাষায় প্রথম গীতিকবিতা রচনা করেছেন। নিজ মনের সমসাময়িক ভাবাবেগ তিনিই প্রথম খ- কবিতার মধ্য দিয়ে ছন্দাকারে প্রকাশ করেছেন। যদিও তিনি কবিতার মানের চেয়ে বিষয়টাকেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু তিনিই সেই প্রথম গীতিকবি যার কবিতায় ফুটে উঠেছে সুতীব্র দেশপ্রেম :
মিছা মণি মুক্তা হেম, স্বদেশের প্রিয় প্রেম,
তার চেয়ে রতœ নাই আর।
[স্বদেশ : ঈশ্বরগুপ্তের কবিতা সংগ্রহ]
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, বাংলা ভাষার ‘প্রথম গীতিকবি’ অভিধাটি কবি ঈশ্বরগুপ্তের জন্যে বরাদ্দ নেই। এই অভিধাটি অযাচিতভাবে বরাদ্দ হয়ে গেছে কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর [১৮৩৫ Ñ ১৮৯৪] জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন এমনটি ঘটলো? কীভাবে এবং কোন বিচারে ‘প্রথম গীতিকবি’র বরমাল্যটি কবি ঈশ্বরগুপ্তকে বঞ্চিত করে বিহারীলালের গলায় পরানো হলো? এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন কি সর্বজন শ্রদ্ধেয় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ? রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং তাকে ‘ভোরের পাখি’ অভিধায় সম্মানিত করেছেন। বিহারীলালকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন : ‘সে প্রত্যুষে অধিক লোক জাগে নাই এবং সাহিত্যকুঞ্জে বিচিত্র কলগীত কূজিত হইয়া উঠে নাই। সেই উষালোকে কেবল একটি ভোরের পাখি সুমিষ্ট সুন্দর সুরে গান ধরিয়াছিল। সে সুর তাহার নিজের।’
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভোরের পাখি অভিধাটি কার প্রাপ্য? প্রকৃত ভোরের পাখি তো কবি ঈশ্বরগুপ্ত। তিনিই তো আধুনিকযুগের উষালগ্নে মনের আনন্দে প্রথম গান গেয়ে উঠেছিলেন। তার পূর্বে আর কে কূজিত হয়ে উঠেছিল? রবীন্দ্রনাথ কি পারিবারিক সম্পর্কটাকেই বড় করে দেখলেন? রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল বলেই কি বিহারীলাল বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম গীতিকবি, ঈশ্বরগুপ্ত নয়? পারিবারিকভাবে ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে বিহারীলালের সঙ্গে বেশ দহরম-মহরম ছিল; বিষয়টি সকলেরই জানা। এ সম্পর্কে বিহারীলাল গবেষক অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক লিখেছেন : “জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির সঙ্গে বিহারীলালের একটি নিবিড় সম্পর্ক ছিল। দেবেন্দ্রনাথ তাকে পুত্রবৎ ¯েœহ করতেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বিহারীলালের ঘনিষ্ঠতা ছিল। দার্শনিক কবি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিহারীলালের ‘সঙ্গীত শতক’ পাঠে মুগ্ধ হন এবং তার সাথে স্বতপ্রবৃত্ত হয়ে আলাপ করেন। তাদের এ আলাপক্রমে গাঢ় বন্ধুত্বে পরিণত হয়।” [বাংলা সাহিত্যে বিহারীলাল: বাংলা একাডেমি প্রকাশিত]
আরেকটি সূত্রে পাওয়া যায় : ‘রবীন্দ্রনাথ দেখেন তাহাদের বাড়িতে বিহারীলাল সকলের প্রশংসার পাত্র; দ্বিজেন্দ্রনাথের কাছে তাহার দ্বার অবারিত, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ তাহাকে বন্ধুর ন্যায় দেখেন। এমনকি অন্তপুরে নতুন বৌঠান কবিকে নিমন্ত্রণ করিয়া খাওয়ান। তাহার জন্যে আসন বুনেন, তাহার কবিতা সশ্রদ্ধভাবে আবৃত্তি করেন। কবির সম্মান ও সমাদর সর্বত্র। কাদম্বরী দেবী ছিলেন বিহারীলালের বিমুগ্ধ ভক্ত।’ [কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী ও বাংলা গীতি কবিতার ধারা : বিষ্ণুপদ পা-া]
ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে বিহারীলালের এই সম্পর্ক ক্রমে এতটাই গাঢ় হয়ে উঠেছিল যে, তা আর সাহিত্যিক পরিম-লে সীমাবদ্ধ থাকলো না। তরুণ রবীন্দ্রনাথ থেকে পরিুত রবীন্দ্রনাথও বিহারীলালে মুগ্ধ ছিলেন। এই মুগ্ধতা থেকেই একদা রবীন্দ্রনাথ বিহারীলালের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্কে জড়ালেন। পরবর্তীতে দৃশ্যমান হয়েছে যে, এই সম্পর্ক স্থাপন রবীন্দ্রনাথের পুরো জীবনের অন্যতম একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। যত বড় আশা নিয়ে সম্পর্কটি স্থাপন করেছিলেন তার চেয়ে বড় আঘাত তাকে সইতে হয়েছে বাংলা ভাষার এই মহান কবিকে। ‘বড় মেয়ে মাধুরীলতার বিয়ে হয় কবি বিহারীলালের পুত্র শরৎচন্দ্র চক্রবর্তীর সাথে। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেধাবী ছাত্রটি কবির সাথে শেষ পর্যন্ত সাধারণ ভদ্রতাটুকুও বজায় রাখেননি। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি বড় ও মেজো একসাথে বসবাসকালে এ কলহের সূত্রপাত। শরৎ বনাম সত্যেনের মধ্যে কলহটাই শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথে এসে অর্পিত হয়। রবীন্দ্র-শরৎ এর মনোমালিন্য এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছিল যে, শ্রদ্ধেয় শ্বশুরকে কক্ষে ঢুকতে দেখেও চেয়ার ছেড়ে ওঠা দূরের কথা টেবিলের উপর থেকে পাও নামাতেন না। [রবীন্দ্রনাথ মৃত্যু Ñ অনুভব ও মৃত্যু : খন্দকার রেজাউল করিম : বেতার বাংলা : শ্রাবণ ১৪১৩ সংখ্যা]
রবীন্দ্রনাথ একটা সময় বিহারীলালে উদ্বেলিত হয়েছিলেন। উদ্বেলিত হয়ে তাকে গুরুমর্যাদায় অভিসিক্ত করেছেন; ভোরের পাখি অভিধা দান করেছেন। রবীন্দ্রনাথের মত মহৎ কবি যাকে গুরু বলে স্বীকার করেছেন; যার প্রতি এতোটা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন; স্বভাবতই সাহিত্যসমঝদারের চোখ গিয়ে পড়েছে তার ওপর। রবীন্দ্রনাথের এ দুর্নিবার আগ্রহ ব্যতীত কি সাহিত্যবিশ্লেষকবৃন্দ বিহারীলাল নিয়ে এতোটা সময় ব্যয় করতেন? তারা কি বিহারীলালকে বাংলা কবিতার ইতিহাসে এতোটা ফোকাস করতেন? বিহারীলালের প্রায় সমসাময়িক কবি বা বলা যায় বিহারীলালের কিছুটা হলেও জ্যেষ্ঠ কবি মাইকেলকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা রহস্যময়। মাইকেল বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ নিশ্চুপ থেকেছেন সারাজীবন। অথচ মাইকেল বাংলা কবিতার একাই একটি যুগ নির্মাণ করেছেন। মাইকেলই বাংলা কবিতার ধারাকে জাতে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। অথচ রবীন্দ্রনাথ দুর্বল কবি বিহারীলাকে নিয়ে ছিলেন কতটা সরব। তার এতোটা মুখরতার কারণেই সমালোচকেরা রবীন্দ্রকাব্যে বিহারীলালের প্রভাব খুঁজে পায়। বিহারীলালকে বাংলা কবিতার ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছেড়ে দেয়। তারা রীতিমত অনুসন্ধ্যান করে খুঁজে পায় যে, বিহারীলাল নাকি রবীন্দ্রনাথের পথ প্রদর্শক।
বিহারীলালকে উচ্চে তুলে ধরতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ কখনও কখনও মাইকেলকে ছোট করতে বা কটাক্ষ করতে পিছপা হননি। তিনি বলেছেন, ‘বিহারীলাল তখনকার ইংরেজি ভাষায় নব্য-শিক্ষিত কবিদের ন্যায় যুদ্ধ বর্ণনাসঙ্কুল মহাকাব্য, উদ্দীপনামূলপূর্ণ দেশানুরাগমূলক কবিতা লিখিলেন না এবং পুরাতন কবিদিগের ন্যায় পৌরাণিক উপন্যাসের দিকে গেলেন নাÑ তিনি নিভৃতে বসিয়া নিজের মনে নিজের মনের কথা বলিলেন।’ মন্তব্যটি দ্বারা রবীন্দ্রনাথ বিহারীলালকে উঁচুতে তুলে ধরেছেন ঠিক কিন্তু আবার একইসঙ্গে স্পষ্টত মাইকেলকে কটাক্ষ করেছেন।
অথচ এই বিহারীলাল সম্পর্কে প্রখ্যাত প-িত প্রমথনাথ বিশী বলেছেন, ‘তিনি নব্য রোমান্টিক কবিগণের অগ্রণী আর বাঙালি মাইনর (অপ্রধান) কবিগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।’ [বাংলা সাহিত্যের ইতিকথা : ভূদেব চৌধুরী]
ড. তারাপদ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলা সাহিত্যে বিহারীলাল সার্থক কবি খ্যাতিতে স্মরণীয় নন।’ [কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী ও বাংলা গীতিকবিতার ধারা: বিষ্ণু পা-া]
ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত বলেন, ‘তিনি যে বঙ্গ-সাহিত্যে বা বঙ্গ কবিতারাজ্যে একটি স্পষ্ট যুগান্তর ঘটাইয়াছিলেন, এমন বলা যায় না। [কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী ও বাংলা গীতিকবিতার ধারা: বিষ্ণু পা-া]
বিহারীলাল চক্রবর্তী বাংলা ভাষার একজন কবি; সন্দেহ নেই। বাংলা কবিতার ইতিহাসে তার স্থান নিশ্চয় আছে। এই লেখাটিতে তাকে ছোট করার কোনরূপ উদ্দেশ্য নেই। তা সম্ভবও নয়। প্রকৃত কবিকে কখনও দু’ একটি প্রবন্ধ বা নিবন্ধ লিখে ছোট করা যায় না। প্রকৃত সত্য একসময় বেরিয়ে আসে।
বিহারীলাল পৃথিবীতে এসেছিলেন আধুনিক বাংলা কবিতার একেবারেই উষালগ্নে। তার সম্মুখে গুরুত্বপূর্ণ কোন রোলমডেল ছিল না। কাউকে অনুকরু বা অনুসরু করে লেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই তিনি যা লিখেছেন সবই মৌলিক। বাংলা কবিতায় তার অবদান নেহায়েত কম নয়। তার বেশ কয়েকজন শিষ্য ছিল যারা বাংলা কবিতায় যথেষ্ট অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রধানতম নিঃসন্দেহে রবীন্দ্রনাথ; যার বহুবর্ণিল উজ্জ্বল প্রভা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিক। মহান রবীন্দ্রনাথ বিভিন্নভাবে গুরু বিহারীলালের অবদান স্বীকার কেেছন। বাংলা ভাষার আরেক স্মরণীয় কবি অক্ষয়কুমার বড়ালও তার একজন যোগ্য শিষ্য। কবি অক্ষয়কুমার বড়াল তার গুরুর জয়গান গেয়েছেন এভাবে :
এসেছিলে শুধু গায়িতে প্রভাতী,
না ফুটিতে ঊষা, না পোহাতে রাতি, Ñ
আধারে আলোকে প্রেমে মোহে গাঁথি,
কুহুরিলে ধীরে ধীরে
ঘুমÑঘোরে প্রাণী ভাবি স্বপ্নবাণী
ঘুমাইল পার্শ্ব ফিরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।