মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর সদস্য সন্দেহে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিন জন বাংলাদেশিসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিগোষ্ঠী নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা যায়।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) অনুপ্রাণিত বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির চার সদস্যকে আটক করেছেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। আটককৃতরা হলেন, মোঃ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন, মামুনুর রশিদ, মোঃ শাহিন আলম ওরফে আলামিন এবং রবিউল ইসলাম।
ভারতের পুলিশ সূত্রের খবর, আটককৃতদের মধ্যে মহসিন, মামুনুর ও আলামিন বাংলাদেশের বাসিন্দা। রবিউল এ রাজ্যের বীরভূমের নয়াগ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সকালে শিয়ালদহ স্টেশনের পার্কিং এরিয়া থেকে মহসিন ও মামুনুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটককৃত দু’জনকে জেরা করে পুলিশ আরও দু’জনের খোঁজ পায়। হাওড়া স্টেশন থেকে আলামিন ও রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে ছবি ও ভিডিও-সহ মোবাইল ফোন, আইএস মতাদর্শের বেশ কিছু প্রচার পুস্তিকা ও পত্রিকা উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশ।
মঙ্গলবার আটককৃতদের আদালতে নেওয়া হবে বলেও দেশটির পুলিশ সূত্রে জানা যায়। এসটিএফ-এর জয়েন্ট সিপি শুভঙ্কর সিংহ জানিয়েছেন, আদালতে আটককৃতদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করবেন তারা।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, এরা জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জড়িত। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। তাই তারা ভারতে পালিয়ে এসে গা ঢাকা দেয়।
সম্প্রতি আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের মুখপত্র আমাখ নিউজে বাংলায় এক বিবৃতি জারি করে দাবি করে, খুব শীঘ্রই বাংলায় তারা আসছে। গোয়েন্দাদের ধারণা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ— এই দুই বাংলাতেই নব্য জেএমবি ফের নতুন করে ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, আইএস-এর প্রত্যক্ষ সাহায্যে নব্য জেএমবি নতুন ‘আমির’ বা সংগঠনের প্রধান নির্বাচন করে এ রাজ্যে সংগঠন তৈরি করার চেষ্টাও করছে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। সেই সময় অবিভক্ত জেএমবি ছিল। অবিভক্ত জেএমবি-র সুরা কমিটির সদস্য হাতকাটা নাসিরুল্লা। খাগড়াগড় মডিউলের অন্যতম সদস্য ছিল সে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তীকালে আদর্শগত মতপার্থক্যের কারণে নাসিরুল্লা এবং জেএমবির বেশ কিছু সদস্য আইএস মতাদর্শী হয়ে নব্য জেএমবি তৈরি করে। তবে নাসিরুল্লা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।