মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে মসজিদ তৈরী হয়েছে। এই দাবিতে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দেয় গেরুয়া ব্রিগেড। পরে অবশ্য আসল সত্য সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর তার নামে বেঙ্গালুরুর একটি মসজিদ উদ্বোধন হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর প্রচার শুরু করে গেরুয়া বাহিনী। যা নিয়ে হকচকিয়ে যায় অনেকেই। পরে প্রকাশ্যে আসে আসল তথ্য। জানা যায়, এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির কোনো সংযোগ নেই।
ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু পূর্ব বেঙ্গালুরুর তাস্কের টাউনে একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে। মসজিদটি ১৭০ বছরের পুরনো। নাম ‘গ্র্যান্ড মোদি মসজিদ’। পুরনো ইমারত ভেঙে নতুন করে সেটি তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু মসজিদটির নামের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদবির মিল রয়েছে এবং মসজিদটি নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে তাই গেরুয়া শিবির ভেবেছিল, বোধহয় প্রধানমন্ত্রীর নামেই মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। তারপরই তারা জোর প্রচার শুরু করে দেয় যে, মোদি দ্বিতীয়বার বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর তার নামেই মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিতে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই প্রকাশ্যে আসে আসল তথ্য।
২০ বছর ধরে এই মসজিদটির ইমামের দায়িত্বে রয়েছেন মাওলানা গোলাম রব্বানি। তিনি জানান, মসজিদটি ১৭০ বছরের পুরনো। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বয়স ৬৯ বছর। তাই তার সঙ্গে এই মসজিদের সংযোগ থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তাস্কের টাউনের এই মসজিদ ছাড়াও পূর্ব বেঙ্গালুরুর আরো দু’টি মসজিদ আছে যা ‘মোদি মসজিদ’ নামে পরিচিত বলে তার দাবি।
‘মোদি মসজিদ’ কমিটির সদস্য আসিফ মাকেরি অবশ্য মসজিদের পুরনো ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে বলেন, ১৮৪৯ সালে এই তাস্কের টাউনে মোদি আবদুল গফুর নামে এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনিই এই মসজিদগুলো তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীকালে গফুরের পরিবার বেঙ্গালুরুতে আরো কয়েকটি মসজিদ তৈরি করে। শতাব্দী প্রাচীন এই মসজিদটি জরাজীর্ণ হয়ে গেলে ২০১৫ সালে সেটি ভেঙে ফেলা হয়। নতুন করে মসজিদটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হলে গত মাসেই খুলে দেয়া হয় মসজিদটি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেইসময়ই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি। মসজিদটি ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে।
তিনি আরো জানান, ট্যানারি রোডের এলাকায় একটি রাস্তার নাম ‘মোদি রোড’।
সূত্র : কলম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।