বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত ছাত্র চিকিৎসা নিচ্ছে হাসপাতালে। শনিবার দুপুরে থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি শাহগঞ্জ দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় নাজেরা বিভাগে অধ্যয়নরত নেজামুলহক (১২) প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল ৬টায় শ্রেণীকক্ষে কোরআন তেলাওয়াত করছিল। হঠাৎ ওই বিভাগের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক আল আমিন নেজামুলকে মারধর শুরু করে। নেজামুল শিক্ষকের কাছে মারধরের কারণ জিজ্ঞেস করলে শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন। একপর্যায়ে নেজামুল মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার সহপাঠিরা বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে নেজামুলের পিতা মজিবুর রহমান মাদ্রাসা থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার সহপাঠিরা জানায় নেজামুলের বিরুদ্ধে এক সহপাঠিকে গালি দেওয়ার অভিযোগে হুজুর তাকে মারধর করেছে। বিষয়টি নিয়ে শনিবার দুপুরে ছাত্রের বাবা বাদি হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নেজামুলের পিতা মজিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলেকে হাফেজ বানানোর জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছে তাকে তো মেরে ফেলার জন্য দেয়নি। যে ভাবে ছেলেকে পেঠানো হয়েছে তা বর্বরতার সামিল। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসাটির প্রধান শিক্ষক মাওলানা তৌফিকুল ইসলাম জানান, কাজটি ঠিক হয়নি। নতুন শিক্ষক বিষয়টা বুঝতে পারেননি।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, এ ভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। তবে থানায় অভিযোগ না করে মিটমাট করে ফেলা ভালো ছিল। অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে প্রত্যাহার করা হবে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) সজীব ঘোষ জানান, বিষয়টি নিয়ে ছাত্রের বাবা অভিযোগ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।