পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, মিসরের বিচারের জন্য আর্ন্তজাতিক আদালতে যা যা দরকার তা আমরা করব। মুরসির মৃত্যু বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করা হবে। খবর এএফপির। এরদোগান আরও বলেন, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে হত্যা করা হয়েছে। মিশরীয় কর্তৃপক্ষ তাকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার এরদোগান ইস্তান্বুলের টেলিভিশনে স¤প্রচারিত এক বক্তব্যে বলেন, মুরসি আদালত কক্ষে ২০ মিনিট পড়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ অপ্রত্যাশিতভাবে তাকে বাঁচাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, মুরসিকে হত্যা করা হয়েছে, সে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেনি। মিসরের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস জানিয়েছে, মুরসিকে দ্রæত আদালতে নেয়া হয়েছে। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এ বক্তব্যটি বিচারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। অভিযোগে বলা হয়, পড়ে যাওয়ার পর কারাকক্ষের খাঁচার চত্বরে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ৬৭ বছর বয়সী এই মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাকে অবহেলায় ফেলে রেখেছিল কারাপ্রহরীরা। যদিও এসময় বিবাদীরা সাহায্য চেয়েছিলেন। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও লিভার রোগে ভুগছিলেন মুরসি। বিদেশি শক্তি ও জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহায়তার অভিযোগের পুনর্বিচারের শুনানিতে কথা বলার পর তিনি আকস্মিক মাটিতে পড়ে যান। মৃত্যুর পরপরই খুবই দ্রæত ও গোপনীয়তার সঙ্গে তার দাফন শেষ করা হয়েছে।
তার পরিবার অনুরোধ করেছিল নিজ জেলা শারকিয়াতে যাতে তাকে কবর দেয়া হয়। কিন্তু সে অনুরোধ অগ্রাহ্য করে রাজধানীর পূর্ব দিকের উপশহর নাসরে তাকে চিরশায়িত করে প্রশাসন। জানাজায় তার পরিবার সদস্য ও আইনজীবীদের হাতে গোনা কয়েকজন সদস্যকে অংশ নিতে দেয়া হলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তাদের দেখতে দেয়া হয়নি। এর আগে সোমবার আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের শুনানির সময় লুটিয়ে পড়েন। পরে মারা যান বলে জানানো হয়। এদিকে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস মুরসির মৃত্যুর কারণ স্বাধীনভাবে প্রমাণের আহŸান জানিয়েছে। মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট এবং বিশিষ্ট মুসলিম ব্রাদার হুডের সদস্য মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে এরদোগানের গভীর সম্পর্ক ছিল। মুরসির মৃত্যুতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, রাষ্ট্রপ্রধান ও নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ অব্যাহত রেখেছেন। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শোক প্রকাশ করতে দেখা গেছে বহু সাধারণ মানুষকেও। মুরসির সংগ্রামী জীবনের নানা বিষয় তুলে ধরে প্রশংসা করছেন সবাই। কারাগারে মুরসির এমন মৃত্যুতে গভীর শোক, সমবেদনা প্রকাশসহ দোয়া করেছেন বিশ্ববিখ্যাত দাঈ ও ইসলামিক স্কলার আল্লামা তাকি উসমানী। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘জোরপূর্বক অন্যায়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ড. মুরসিকে কয়েক বছর জেল জুলুম ভোগ করার পর মানুষের আদালতে তোলা হল, আর আল্লাহ তাকে নিয়ে গেলেন নিজের আদালতে, যেখানে শুধু ইনসাফ আর ইনসাফ, জুলুমের গন্ধও নেই। আল্লাহ তাকে পূর্ণ মাগফিরাত করুন এবং তাকে রহমতের চাদরে ঢেকে নিন।’ আমীন। মুরসির প্রশংসা করে টুইট করেছেন জর্ডানের সাবেক রানি নূর আল হুসাইন। মুরসির মৃত্যুর সংবাদে আবেগতাড়ি হয়ে রানি টুইটে লেখেন, ‘তার কিসের চিন্তা? নিশ্চিন্তে প্রশান্তির ঘুম ঘুমাক সে, তিনিই মিসরের সর্বপ্রথম এবং একমাত্র গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট।’ এএফপি, রয়টার্স, আনাদোলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।