পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সউদী আরব একটু একটু করে নিজেদের খোলস ছেড়ে বেরুতে শুরু করেছে। এবার এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির প্রথম নারী পাইলট হিসেবে বাণিজ্যিক বিমানের ককপিটে বসেছেন ইয়াসমিন আল মাইমানি নামে এক সউদী নারী।
কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে ‘আল আরাবিয়া’ জানায়, বিমান চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার মোট ছয় বছর পর এবার একজন পরিপূর্ণ বৈমানিক হিসেবে প্লেনের ককপিটে বসার সুযোগ পেলেন তিনি। এর আগে জর্ডান থেকে বিমান চালানোর যোগ্যতা অর্জন শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৩০০ ঘণ্টা বিমান উড়ানোর প্র্যাকটিস করেছেন ইয়াসমিন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ইয়াসমিন তার মার্কিন বিমান চালানোর লাইসেন্সের সঙ্গে সউদীর বিমান চালানোর লাইসেন্সকে অদল-বদল করেন।
সউদীর বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়াসমিন তার সকল প্রশাসনিক কাজ শেষ করায় এখন নেসমা এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এয়ারলাইন্সটি বর্তমানে সউদী এবং মিশরের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
এ দিকে ঐতিহাসিক এই অর্জনের পর নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই আনন্দের বিষয়টি শেয়ার করেন ইয়াসমিন। যেখানে একটি বিমানের ককপিটে বসা অবস্থায় ছবি পোস্ট করে তার নিচে ইয়াসমিন লিখেছেন- ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ, আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ফার্স্ট অফিসার হিসেবে কাজ করার জন্য আমি অনুমতি পেয়ে গেছি।’
যদিও ইয়াসমিনের আগে সউদী আরবে বিমান চালিয়ে ছিলেন আরও একজন নারী। হানাদি আল-হানাদি নামে এই নারীর জন্ম ১৯৭৮ সালে। ২০০৫ সালে তিনি জর্ডানের মিডল ইস্ট অ্যাকাডেমি ফর কমার্শিয়াল অ্যাভিয়েশন থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করেন। পরে ২০১৪ সালে তিনি সউদীর অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স লাভ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট হওয়া হয়নি তার। কেননা সউদী যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন তালালের ব্যক্তিগত বিমানের পাইলট হিসেবে ১০ বছরের চুক্তি রয়েছে হানাদির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।