মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বহুল আলোচিত রাজনৈতিক বন্দী ১৩ বছরের কিশোর মুর্তাজা কুরেইরিসকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে সউদী সরকার। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির এক কর্মকর্তা এই খবর জানান। তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। ওই কর্মকর্তা জানান, নাশকতার অভিযোগে আটক মুর্তাজাকে ২০১৪ সালে ১২ বছরের সাজা দেওয়া হয়। পরে তার বয়স বিবেচনা করে ৪ বছরের সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়। বাকি সাজার সময়সীমা শেষ হবে ২০২২ সালে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় সউদী রাজতন্ত্রের নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের দাবিতে গণবিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল। ওই বিক্ষোভে মুর্তাজা কুরেইরিস ও তার বন্ধুরা সাইকেল রাইডে নেমেছিল বলে জানায় সিএনএন।
অল্প বয়সী বালকদের জড়ো হওয়ার বিষয়টি তখন ‘পর্যবেক্ষণ’ করে সউদী সরকার। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার তিন বছর পর মুর্তাজাকে পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ বাহরাইনে চলে যাওয়ার সময় সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সউদী আরবের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাজনৈতিক বন্দী’হিসেবে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় চার বছর ‘বিচার-পূর্ব কারাভোগ’ করার পর মুর্তাজাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে, সেই অনুসারে ‘অপরাধ সংঘটিত করার সময়’ বয়স ছিল ১০ বছর।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মুর্তাজার ভাই আলী কুরেইরিস মোটরসাইকেলযোগে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আওয়ামিয়ায় গিয়ে থানায় পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেন, সে সময় তার সঙ্গে ছিল মুর্তাজাও। পরে আলীকে হত্যা করে সউদী নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযোগ ওঠে সুদীর্ঘ নিপীড়ন ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে মুর্তাজার মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। সবশেষে শান্তিপূর্ণ সরকার বিরোধিতার শাস্তি হিসেবে তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষিত হয়ে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সিএনএন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনটির সত্যতা যাচাই করেছে।
এদিকে বুধবার অস্ট্রিয়ার সরকার জানায়, মুর্তাজার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে তারা ভিয়েনাতে সউদী অর্থায়নে পরিচালিত ধর্মীয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া এই মৃত্যুদণ্ডকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবর দেশ রুপান্তর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।