বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশ রাজনীতিতে নিরবতা চলছে সর্বত্র। ঈদে রাজনীতিক দলের কর্মী সমর্থক দলীয় নেতাদের তৎপরতায় ভিন্ন সাজে রূপায়িত করা হয়। ব্যানার ফেস্টুন, তোরন প্লেকার্ড, বিল বোর্ডে ফুটে উঠে ঈদি শুভেচ্ছায়। এবার ঈদে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের সেই রকম উল্লেখযোগ্য তৎপরতা নেই । অন্যবারের মতো নগরীতে সরকার দলের নেতাকর্মীদের স্বর্তস্ফূর্তসাড়া নেই বিলবোর্ড রাজনীতিতে। তবে ভিন্নতায় রয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ। ক্লিন ইমেজে স্বীকৃত, রাজনীতিতে ক্ষুরধার বৃদ্ধিমত্তার অধিকারী আসাদ উদ্দিনের পক্ষ থেকে নগরময় টানিয়ে দেয়া হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন, প্লেকার্ড, বিল বোর্ডে নান্দনিক নানা বার্তা সম্বলিত ঈদ শুভেচ্ছা। পরিচ্ছন্ন, ঝকঝকে ছবি, শৈল্পিক ছাপে বিশেষ করে বিশাল, বিশাল বিল বোর্ডে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে রুচিশীলতার চাপ। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতাদের ঈদ শুভেচ্ছা সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিল বোর্ডে শুভা পাচ্ছে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর ছবি। ঐ ছবিগুলোতে সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রবীন রাজনীতিবীদ আলোকিত সিলেটের প্রবক্তা উন্নয়নের রূপকার আবুল মাল আবদুল মুহিত এর ছবি নেই। তবে এবারো মুহিতের পাশে দাড়ালেন বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। তিনি নগরীতে যতটি বিল বোর্ড লাগিয়েছেন সবটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি আছে। তবে দলের অন্যান্য র্শীষ নেতারা বে-মালুম ভূলে গেছেন সাবেক এই অর্থমন্ত্রীকে। তারা এখন ক্ষমতার পাশে বসে মধু-রস খেতে ঘিরে আছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের ভাই, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। এদের হালচিত্রে ফুটে উঠেছে ক্ষমতা যার, তারাই তার। প্রসঙ্গত, গেলো মন্ত্রীসভার দুদন্ড প্রতাপশালী অর্থমন্ত্রী মুহিতকে ঘিরে সবসময়ই আনাগোনা থাকতো সুবিধাভোগী চক্রের। এদের অনেকেই গেলো দশ বছরে দলীয় পরিচয়ের ছদ্মাবরণে অর্থমন্ত্রীকে ব্যবহার করে ‘কামাই’ করেছেন কোটি কোটি টাকা। সরকারি বিভিন্ন অফিসে প্রভাব বিস্তার, তদবির ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং ঠিকাদারীসহ অনেকভাবেই এই চক্রটি আখের গুছিয়েছে নিজেদের। কিন্তু মন্ত্রী সভা থেকে বাদ পড়তে না পড়তেই সেই সুবিধাভোগীরাও ভুলে গেছে মুহিতকে। এবার ঈদে বাস্তবিক অর্থে যে সাবেক অর্থমন্ত্রীকে ভূলে গেলেন তারা এটাই তার নজির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।