পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৪০ দিন ভোগার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন নরসিংদীর অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ জান্নাতি আক্তার (১৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত ২১ এপ্রিল ভোরে নরসিংদীর হাজিপুরে শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে শ্বশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে।
মৃত জান্নাতি নরসিংদী সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম খানের মেয়ে এবং চরহাজীপুর গ্রামের হুমায়ুন ও শান্তি বেগম দম্পতির পুত্রবধূ।
জান্নাতির দাদা মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খান অভিযোগে বলেন, গত বছর ঈদুল আযহার দিন হুমায়ুনের ছেলে শিপলুর সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে জান্নাতি। বিয়ের পর থেকেই জান্নাতির শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে না নিয়ে অত্যাচার করে আসছে। তারা বিভিন্ন সময় জান্নাতিকে মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা করার জন্য চাপ দিতো। এতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। এতে বেশ কয়েকবার বাবার বাড়ি চলে আসে জান্নাতি।
সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল স্বামীর অনুরোধে শ্বশুর বাড়ি ফিরে যায় জান্নাতি। সেখানে যাওয়ার পর ২১ এপ্রিল ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। গতকাল সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জান্নাতি। তাকে মারধরের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নরসিংদী আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, পরিবারের পক্ষে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।