পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ভারতের ১৭তম লোকসভার নির্বাচনের ফল ঘোষিত হয়েছে গত ২৩ মে। ৯০ কোটি ভোটারের এ নির্বাচনের ফল হচ্ছে: বিজেপি ও তার জোট ৩৫১ (বিজেপি একাই ২৯৮টি), কংগ্রেস ও তার জোট ৯১ ও অন্যান্য ১০০। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে বিজেপি ও তার জোটের বিশাল বিজয় হয়েছে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে অনেক বেশি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কারণে কংগ্রেসের জোয়ার সৃষ্টি হবে মনে করা হলেও তা হয়নি। মানুষ তাকে দেখেছে দু নয়ন ভরে আর ভোট দিয়েছে বিজেপিকে এবং তা সারাদেশেই। তবে, এবার কংগ্রেসের আসন সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তবুও দলের প্রধান রাহুল গান্ধী ও অনেক রাজ্যের প্রধান দলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে অনেক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। অনেকের আশংকা- কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের ইতি ঘটছে। স্মরণীয় যে, এবারও বিরোধী দল নেতা বঞ্চিত থাকছে (চলতি সংসদেও তাই ছিল)। বিরোধী দলের নেতা হতে হলে কমপক্ষে ৫৫টি আসন দরকার। কিন্তু সর্বাধিক আসনে জয়ী কংগ্রেস আসন পেয়েছে ৫১টি। বিরোধী দলগুলো তাদের পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ীদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দও অভিনন্দন জানিয়েছে। বিজেপির এ বিশাল জয়ের পেছনে বিশেষজ্ঞরা নানা যুক্তির কথা বলছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: মোদীকারিশমা, বিরোধী দলের অনৈক্য, কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের উত্থান ইত্যাদি। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, বিজেপির বিশাল জয়ের পেছনে দলটির যতটা কৃতিত্ব আছে, তার চেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বিরোধী দলগুলোর চরম অনৈক্য! তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েও বিজেপি বিরোধী একক প্ল্যাটফর্মে সমবেত হতে পারেনি। বরং প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে নিজেরা প্রচণ্ড ঝগড়া-বিবাদ করেছে। ফলে সাধারণ মানুষ তাদের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। যার প্রমাণ এ নির্বাচনের আগে কয়েকটি রাজ্যসভার নির্বাচন হয়েছে। তাতে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। এমনকি হিন্দি বলয়েও। জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। তাই অনেকেই মনে করেছিল, এবার লোকসভার নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় ঘটবে আর কংগ্রেস ও তার জোটের জয় হবে। দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি আবার শক্তিশালী হবে। কিন্তু হয়েছে তার বিপরীত। মোদী হঠাতে গিয়ে বিরোধীরা নিজেরাই ধরাশায়ী হয়েছে। অপরদিকে, মোদীকারিশমায় বিজেপির বিশাল জয় হয়েছে বলে যারা মনে করছে,তাদের ধারণাও সঠিক নয়। কারণ,২০১৪ সালের লোকসভার নির্বাচনে মোদী যে ভাবমূর্তি নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন, তা গত ৫ বছরে স্লান হয়ে গেছে নানা কারণে। যেমন: তিনি গুজরাট মডেলে সমগ্র ভারতের উন্নতি করবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,তার ধারে কাছেও যেতে পারেননি গত ৫ বছরে। বরং তার ক্ষমতাকালে দেশের উন্নতির চাকা পেছনের দিকে ধাবিত হয়েছে। তাই গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। নতুন কর্মসংস্থান প্রয়োজন মত না হওয়ায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নোট-বন্দিও বুমেরাং হয়েছে। কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে পথে বসেছে। তাই তারা মোদী বিরোধী ব্যাপক আন্দোলন করেছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও চরম অবনতি হয়েছে। ধর্ষণ তো মহামারির আকার ধারণ করেছে। নারীরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয় এবং তা সমগ্র দেশেই। অর্থ পাচারও ব্যাপক বেড়েছে। রফতানিও চরম ধাক্কা খেয়েছে। অন্যদিকে, গো রক্ষার নামে লোমহর্ষক কর্মকাণ্ডে নানাবিধ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: বেশিরভাগ রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করায় লাখ লাখ কসাইখানা বন্ধ হয়ে সংশ্লিষ্ট লোকজন বেকার হয়েছে। মাংস রফতানি হ্রাস পেয়ে ভারতের অবস্থান দাঁড়িয়েছে দ্বিতীয় স্থানে-প্রথম ব্রাজিল। অথচ গরু জবাই নিষিদ্ধ হওয়ার আগে মাংস রফতানিতে ভারত বিশ্বে প্রথম ছিল। ব্রাজিল ছিল দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে, গরু বিক্রি না হওয়ার কারণে গো চাষীরা পথে বসেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ভারতের অবস্থান অনেক দুর্বল হয়েছে। দীর্ঘদিন সোভিয়েত বলয়ে থাকার পর হঠাৎ করে মোদী সরকার দিক পরিবর্তন করে আমেরিকা-ইসরাইল মুখী হয়ে পড়ে। অথচ এই বলয়ের শক্তি এখন খুবই দুর্বল। ফলে ভারতের অবস্থানও দুর্বল হয়ে পড়েছে বিশ্ব পর্যায়ে। অন্যদিকে, আঞ্চলিক পর্যায়েও ভারতের অবস্থান আগের মতো শক্তিশালী নেই। চীনের প্রচণ্ড চাপে পড়ে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। চীন যেন চারিদিক থেকে ঘেরাও করে ফেলেছে ভারতকে। এই অবস্থায় বিজেপির বর্তমান বিজয়ে মোদিক্যারিশমার অবদান বেশি তা ঠিক নয়। তাই বিজেপির এই বিশাল বিজয়ের পেছনে কট্টর হিন্দুত্ব-বাদীদের উত্থানের অবদানই সর্বাধিক, এই যুক্তিই সঠিক। এ ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এর মন্তব্য স্মরণীয়। তিনি গত ২৪ মে এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বলেন, ‘ইভিএম নয়, হিন্দু মনের সঙ্গে কারচুপি হয়েছে। এই নির্বাচনে জাতপাত ও ধর্ম মুখ্য বিষয় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিজেপি হিন্দুত্বের কার্ড খেলেছে এবং তারা সফল হয়েছে। গোটা নির্বাচনে উন্নয়নের ইস্যু অনুপস্থিত ছিল’। স্মরণীয় যে, ২০১৪ সালের লোকসভার নির্বাচনে বিজয়ের পর থেকেই বিজেপি ও তার জোট এর নেতারা কট্টর হিন্দুত্ববাদী কর্মকাণ্ড শুরু করে। যার অন্যতম হচ্ছে-ঘর আফছা। হিন্দুদেরকে জোর করে মুসলমান বানানো হয়েছে। তাই তাদেরকে আবার হিন্দু বানাও শুরু করে দেয় তারা।এতে কত মুসলমানকে যে জোর করে হিন্দু বানানো হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। এরপর শুরু হয় গো রক্ষার নামে গরু জবাই নিষিদ্ধ। উপরন্তু গো মাংস আছে অভিযোগে বহু মুসলমানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফলে দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৫% মুসলমান,যাদের মোট সংখ্যা ১৭ কোটির অধিক,তাদের মধ্যে চরম আতংক সৃষ্টি হয়। তাই বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর তীব্র নিন্দা জানায়। ফলে মহামান্য আদালত এটা বন্ধ করতে কঠোর নির্দেশ জারী করেন। তবুও তাদের কট্টর কর্ম বন্ধ হয়নি। যেসব রাজ্যে বিজেপি জয়ী হয়, সেখানে গেরুয়া বাহিনীর প্রধানকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। যার বড় প্রমাণ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিনাথ। যিনি বড়মাপের সন্ন্যাসী। তারপর শুরু হয় মুসলমানদের বিতাড়ন করার প্রক্রিয়া। যার প্রথম যাত্রা হয় আসামে। আসামের নাগরিকত্ব সনদ চালু করে ৪২ লাখ বাঙ্গালী মুসলমানকে নাগরিকত্বহীন করা হয়েছে। অথচ তারা বংশপরম্পরায় সেখানে বাস করে আসছে। তবুও তারা আজ সেখানে পরবাসী বনেছে। তাদেরকে বাংলাদেশী বলে বলা হচ্ছে। ফলে তারা সেখানে থাকতে পারবেন কি-না তা নিয়ে তাদের মধ্যে চরম শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বোপরি এ নিয়ে সেখানে মাঝে মধ্যেই মুসলিম-অহমীর মধ্যে ব্যাপক হানাহানি হচ্ছে। এই নাগরিকত্ব সনদ পশ্চিমবঙ্গেও চালু করা হবে বলে এ নির্বাচনকালে বিজেপির নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেছে। একই ঘোষণা দেয়া হয়েছে ত্রিপুরায়ও। বিজেপির নেতাকর্মীরা মনে করে সেখানকার মুসলমানরা বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তানের অনুপ্রবেশকারী। তাই তারা কথায় কথায় বাংলাদেশে যাও,পাকিস্তানে যাও বলে হুংকার দেয়। এখানেই শেষ নয়, বিজেপির নেতারা বিভিন্ন স্থানে মুসলিম স্থাপনা এবং ইতিহাসখ্যাত মুসলিমদের নামকরণ মুছে ফেলে হিন্দুদের নামে নামকরণ করেছে। অর্থাৎ তারা ইতিহাস মুছে ফেলে স্বরচিত ইতিহাস রচনা করছে। অপরদিকে, কতিপয় কট্টর হিন্দুবাদী সংগঠন ঘোষণা করেছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানো হবে আর এর স্বল্প সময়ের মধ্যেই সমগ্র অঞ্চল মিলে রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া, নির্বাচনের শেষপ্রান্তে এসে মোদী পর্যটনের এক গুহায় গিয়ে ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের প্রলুব্ধ করার জন্য। উপরন্তু তিনি বলেছেন, ‘রাম ছিলেন একজন আদর্শ রাজা এবং তার শাসন ছিল আদর্শ ব্যবস্থা’, ‘রাম রাজ্য ছিল আমাদের প্রতিষ্ঠাতা জনক এবং বিজেপি সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে’ ইত্যাদি। এছাড়া, তিনি পাকিস্তানে সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাও খেলেছেন। নিজেকে দেশের চকিদার বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে, কোথাও কোথাও নির্বাচনী পোস্টারে রামের ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে তারা সমগ্র দেশে কট্টর হিন্দুত্ববাদী জাগরণ সৃষ্টি করেছে। সেই জাগরণে এবার বামপন্থীরা পর্যন্ত শামিল হয়েছে। অথচ তারা কখনোই ধর্ম বিশ্বাস করে না। কিন্তু তারাই এবার লোকসভার নির্বাচনে রামভক্ত হয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। আর এসব নানা কারণেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আসন বেড়েছে আর তৃনমূল কংগ্রেসের আসন কমেছে। অর্থাৎ পশ্চিম বঙ্গে বামরা নিজের নাক কেটে তৃনমূলের সর্বনাশ করেছে। ফলে তারা একটি আসনও পায়নি। এমনকি সমগ্র ভারতেও নয়। অর্থাৎ কট্টর হিন্দুত্ব-বাদী জাগরণের কারণেই বিজেপির আসন ও ভোট বেড়েছে আগের নির্বাচনের চেয়ে। উল্লেখ্য যে, এবার নির্বাচনে মিসেস মোদীও অংশগ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে আনন্দবাজারের সচিত্র খবর হচ্ছে: পুরো ভারত যখন টিভির সামনে, নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী যশোদাবেন মোদী তখন অম্বাজি মাতার মন্দিরে। পূজায় মগ্ন। তাঁর প্রার্থনা-জুড়ে তখন মোদীর নেতৃত্বাধীন বিপেজির তিন শতাধিক আসনের কামনা। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ধারা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। এটাই তো প্রার্থনা করে এসেছি’। অথচ এই স্ত্রীর কথা মোদী সারাজীবন অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু গত নির্বাচনে হলফনামা স্বাক্ষরের সময় তা স্বীকার করেছেন। অবশ্য তারপরও তাদের মিলন হয়নি এখনও।
স্মরণীয় যে, বিজেপির এই উত্থান শুরু হয় বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে রামের নামে প্রতীকী মন্দির তৈরির পর থেকেই। যার জ্বলন্ত প্রমাণ, ইতিহাসখ্যাত এই মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার আগে বিজেপি লোকসভার নির্বাচনে মাত্র ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। আর এই মসজিদ ভাঙ্গার পর হতে তারা এবার দিয়ে চারবার কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব পেয়েছে। আর রাজ্য সরকার পরিচালনা করেছে অনেক। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় এবার নির্বাচনে বিজেপির বিশাল জয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে- কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের উত্থান। অর্থাৎ কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের ভীত ভারতের সমাজের খুব গভীরে গ্রথিত হয়েছে। যা সহজে নড়বড়ে হবে না। হলেও তা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ফলে ভারতের ঐতিহ্যবাহী ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র আজ চরম হুমকির মুখে। তাই ভারতের ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা যেমন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে,তেমনি মুসলমানের মধ্যেও আতংক দেখা দিয়েছে। স্মরণীয় যে, এবার লোকসভা নির্বাচনে ২৬ জন মুসলিম প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। গত লোকসভায় ছিল ২৩ জন। এছাড়া, ১৪ ও ১৫তম লোকসভা নির্বাচনে ৩০ ও ৩৪ আর ১৯৮৪ সালে ৪২ মুসলমান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন- বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। অর্থাৎ লোকসভায় দিন দিন মুসলিম প্রতিনিধির সংখ্যা কমছে। অথচ মুসলমানের সংখ্যা বাড়ছে। অপরদিকে, ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের উত্থানের প্রভাব পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও পড়তে পারে মনে করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বিগ্নতা দেখা দিয়েছে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।