মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের সূচনা হচ্ছে আজ। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আজ সন্ধ্যা ৭টায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করছেন। একই সঙ্গে শপথ নেবে তার মন্ত্রিসভা। এ শপথ অনুষ্ঠানে বিমসটেকের নেতারা অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকালই ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন। এদিকে ‘রাজনৈতিক সৌজন্য’ দেখাতে যাবার সিদ্ধান্ত ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না তিনি। গতকাল বুধবার দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানান এ কথা। পশ্চিমবঙ্গে খুন হওয়া বিজেপি কর্মীদেরকে মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করার প্রতিবাদে তিনি এ শপথ অনুুষ্ঠান বর্জন করছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের মতো একটি অনুষ্ঠানকে একটি দল রাজনৈতিক লাভ তোলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বলে অভিযোগ করে টুইটে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গে ‘খুন হওয়া’ ৫৪ জন বিজেপি কর্মীর পরিবারকে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে হাজির করানোর যে পরিকল্পনা বিজেপি নিয়েছে, তার জেরেই যে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত মমতা বাতিল করলেন, টুইটে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণম‚ল চেয়ারপার্সন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সাংবিধানিক সৌজন্যের জন্যে আপনার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাব। কিন্তু সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারছি, বিজেপি দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গে ৫৪ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অসত্য। পশ্চিমবঙ্গে কোনও রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটেনি। সেই হত্যার পেছনে পারিবারিক সমস্যা, শত্রুতা বা অন্যান্য কারণ থাকতে পারে। কিন্তু তা রাজনৈতিক হত্যা নয়।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, ‘আমি দুঃখিত, এই বিষয়টিই আমাকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে বিরত করতে বাধ্য করল।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আসলে গণতন্ত্রের উদযাপন। কিন্তু সেটাকেই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
জানা গেছে, আজ প্রেসিডেন্ট ভবনে উপস্থিত থাকতে গতকাল বিকেল ৪.৫০-এর রাজধানী এক্সপ্রেসে কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছেন নিহত ৫০ জনের পরিবারের সদস্যরা। শুধুমাত্র যাওয়াই নয়, নয়াদিল্লিতে থাকা এবং অন্য সমস্ত কিছুর দায়িত্বও নিয়েছে বিজেপি।
আজ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এবং মন্ত্রিসভা গঠন নিােয় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দেশ বিদেশ থেকে মোট ৭ হাজার আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন শপথ গ্রহণে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।