রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রমজানে ফেনীর প্রত্যেকটি হাট-বাজারে কাঁচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের। চাল, ডাল, ছোলা, রসুন, পেঁয়াজ, আলু থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যই বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০-২৫ টাকা বেশি দরে। কোনো কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে তার চেয়েও বেশি। রমজানের শুরু থেকে গত কয়েকদিন বাজারের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, রমজান শুরুর পর নতুন করে কোনো জিনিসের দাম বাড়েনি। তবে ক্রেতারা বলছেন চড়া দামেই তাদের কিনতে হচ্ছে সব ধরনের পণ্য।
গত কয়েকদিনে বাজার মনিটরিং করে দেখা যায়, ফেনীর দাউদপুর পৌর পাইকারি বাজার, ফেনীর বড় বাজার ও রেলগেট সংলগ্ন সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেট ও মহিপাল কাচাঁবাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ও মানভেদে ধনিয়া পাতার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। শসা ৪০-৫০, বেগুন ৫০-৬০, পাকা টমেটো ৪০-৪৫, পটল ৪০-৫০, করলা ৬০-৭০, ধুন্দুল ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৪০-৫০, কাঁকরোল ৬০-৭০, ঝিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবু প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তরে রমজানের শুরুতে ছোলা ৭৫ টাকা এবং বেগুন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বাজার যাচাইয়ে দেখা যায় রমজানের শুরুতে সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেটে আবদুল আলী গোস্ত বিতান সার্টে লেখা রয়েছে গরু মাংস হাড় সহ প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা,হাড় ছাড়া ৬৫০ টাকা, মহিষের মাংস হাড় সহ ৫৩০ টাকা, হাড় ছাড়া ৬৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফেনী বড় বাজারে ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা,খাশির মাংস ৭৫০ টাকা, ভেড়ার মাংস ৫৮০ টাকা ও পাঠার মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগী ৫৫০-৬০০ টাকা,কক মুরগী বড় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায় এবং ২০০ টাকার মাছ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে মনিটারিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। নামমাত্র সাময়িক চার্ট টাঙ্গানো থাকলেও ক্রেতাদের নিয়মিত ঠকিয়ে চড়া দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। রমজানের শুরু থেকে আমাদের টিম বাজার মনিটরিং করছে যেখানে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছে সেখানে শাস্তিমূলক জরিমানা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।