Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিত্যপণ্যের বাজার উত্তাপ

প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রোজার এখনো বাকি আছে প্রায় এক মাস। এর আগেই প্রায় মাসখানেক ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিশেষ করে রোজায় যে সমস্ত পণ্যের বাড়তি চাহিদা থাকে সেসব পণ্যের দাম বাড়ছে। মন্ত্রণালয়ের মজুদের ঘোষণা, ব্যবসায়ীদের প্রতি হুমকি, সংসদীয় কমিটির আশ্বস্ত আর টিসিবির খোলাবাজারে পণ্যের বিক্রি কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। রোজায় বাজার মনিটরিংয়ের ঘোষণা দেয়ার আগেই থেকে দাম বৃদ্ধি করছেন ব্যবসায়ীরা, যা দেখার কেউ নেই।
শুক্রবার বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বাজাওে বেড়েছে চিনি, ডাল, ছোলা ও ব্রয়লার মুরগির দাম। রমজানের আগে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। অথচ দুয়েকদিন আগে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়। প্রতিকেজি চিনিতে বেড়েছে ৫ টাকা। এছাড়া বাজারে ছোলার দামও ঊর্ধ্বমুখী। খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা।
খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও সামান্য বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা থেকে ১৬৫ টাকায়।
গত সপ্তাহের অপরিবর্তিত দামে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। বৃদ্ধি পাওয়া দামে প্রতি কেজি রসুন (আমদানি) বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আর গত সপ্তাহের থেকে দশ টাকা বেশিতে এ সপ্তাহে দেশি রসুন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের থেকে হালিতে দুই টাকা দাম বেড়েছে ফার্মের ডিমের। ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ৩৪ টাকা ও ডজন ১০০ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি ৩৪ টাকা ও ডজন ১০২ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৫০ টাকা ও ডজন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর গোশত ৩৮০ টাকা থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি খাসির গোশত ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকায়। পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকায় (একশ)।
এদিকে বাজারে কাঁচাপণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। রাজধানীর স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ৩০ টাকায়, গাজর ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, শশা ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, ঝিঙে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, চিচিঙ্গা ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, পেঁপে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, শালগম ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, বরবটি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, কচুর ছড়ি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, লতি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, টমেটো ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, করলা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, উচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, পটল ২৫ টাকা ৩০ টাকায়, শজনে ৬০ টাকায় এবং কাকরোল ৪০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩৫ টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৪৫৫ টাকায়। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিত্যপণ্যের বাজার উত্তাপ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ