Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০৩০, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : একের পর এক বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। আসন্ন রমজান উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার একাধিক ঘোষণা ও হুঁশিয়ারি দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। রমজানে বাড়তি চাহিদা থাকে এমন প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়ছে। সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে গোসতের দাম। এদিকে পাইকারি বাজারে চাল সরবরাহে কোনো সংকট না থাকলেও গত এক মাসে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪-৫ টাকা করে।
রমজানকে ঘিরে বাড়ছে ডালের দাম। সেই বৃদ্ধ পাচ্ছে ছোলার দাম। রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১৫ টাকা। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫৫ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৫০ টাকায়।
আমদানি করা নেপালি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১৪০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ডালে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আর প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।
লাফিয়ে বাড়ছে গরুর গোসতের দাম। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে ছিল ৩৮০ টাকা। এর আগে খাসির মাংসের দাম বেড়ে স্থির রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা থেকে ৩৪ টাকায়। যদিও আগের সপ্তাহে প্রতিহালি ডিম ২ টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল। শুক্রবার পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ’ ডিম ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকায় (একশ’)।
সপ্তাহ তিনেক আগে ভালো মানের মিনিকেট চালের দাম ছিল বস্তপ্রতি ২১৫০ থেকে ২২০০ টাকা। বর্তমানে তা বস্তপ্রতি ৫০-১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২৫০-২৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একটু খারাপ মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ২১০০ থেকে ২১৫০ টাকায়। দুই মাস আগেও (বছরের শুরুতে) খুচরা বাজারে যে চাল পাওয়া যেত প্রতি কেজি (মিনিকেট) ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা করে, চলতি সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা।
খুচরা বাজারে ভালো মানের নাজিরশাইল চালের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৪৮০ থেকে ২৫০০ টাকায়। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে এই চাল বিক্রি হতো ৫০ টাকায়। বর্তমানে বিআর-২৮ (লতা নামে পরিচিত) ৩৮-৪৫ টাকা, কাটারিভোগ ৬৭-৭০, বাসমতি ৫৮-৬৪, সুগন্ধি চাল ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল ১০০-১১০ টাকা এবং মোটা চাল ৩০-৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু দোকানে বিআর-২৮ এর দাম ৩৫-৩৬ টাকা ও মোটা চাল ৩০-৩১ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গত দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি পরে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থির রয়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। এদিকে বাজারে বেশ কিছু কাঁচাপণ্যের দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে সামান্য কমেছে। মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন ৩০-৩৫ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ৩০ টাকায়, গাজর ৩০-৩৫ টাকায়, শসা ৩০-৩৫ টাকায়, ঝিঙে ৩০-৩৫ টাকায়, চিচিঙ্গা ২৫-৩০ টাকায়, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকায়, ধুন্দল ৩০-৩৫ টাকায়, শালগম ৩০-৩৫ টাকায়, বরবটি ৩০-৩৫ টাকায়, কচুর ছড়ি ৩০-৩৫ টাকায়, লতি ৩০-৩৫ টাকায়, কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকায়, টমেটো ৩০-৩৫ টাকায়, করলা ৩৫-৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ২৫-৩০ টাকায়, উচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়, পটল ২৫-৩০ টাকায়, শজনে ৬০ টাকায় এবং কাকরোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩৫ টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ