Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতারা অসহায়

প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৯ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অসহায় মধ্যবিত্ত আয়ের ক্রেতারা। একের পর এক বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। দেশী-বিদেশী বাজারে কোন পণ্যের দাম কমলেও তার কোন প্রভাব নেই রাজধানীর বাজারে। এমনকি সরকারি কোন ঘোষণারও প্রতিফলন ঘটেনা খুচরা বাজারে। এসব নিয়ে ক্রেতারা অজস্র অভিযোগ করছে, আর বিক্রেতাদের রয়েছে নানা যুক্তি। নেই কেবল তদারকি করার কোন সংস্থা।
শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারে হঠাৎ করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে রাজধানীর বাজারে কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা দাম কমেছিল পেঁয়াজ ও আলুর। ওই সময় নতুন দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ২৮ টাকায়। কিন্তু এ সপ্তাহে অর্থাৎ শুক্রবারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ দুই টাকা বেড়ে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের মৌসুম এখন তবুও দাম বাড়ছে। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মালিবাগ কাঁচাবাজারের বিক্রেতা সজীব মিয়া বলেন, এতদিন নতুন পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে সরাসরি বাজারে এসেছে। এখন পেঁয়াজ বাছাই করে হালকা শুকিয়ে বাজারে আনা হয়, এ কারণে দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। তবে আগামী সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
অন্যান্য মুদি পণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা এবং আমদানি করা মোটা মসুর ডাল ১০০ টাকা, মুগ ডাল ১১০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ২৫ টাকা, আমদানি করা মোটা পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা ও মোটা আদা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কিছুটা কমানো হলেও কমেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। ৫ লিটারের রূপচাঁদা সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৫ টাকা কমে ৪৫৫ থেকে ৪৫৮ টাকায়, ৫ লিটারের তীর সয়াবিন তেলের দাম ৬-৭ টাকা কমে ৪৫৫- ৪৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, চিচিঙ্গার কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা ও ঢেঁড়স কেজিতে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকায়। গেল সপ্তাহে ৩০ টাকা থাকলেও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, হালি প্রতি লেবু ২০ থেকে ৩৫ টাকা এবং কাঁচামরিচের কেজি ৫০ টাকা। ধনে পাতা কেজি ৬০ টাকা হলেও পুদিনা পাতায় যেন লেগেছে আগুন। কেজি ১৫০ টাকা। কচু ডাটা ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা।
যদিও স্থিতিশিল রয়েছে বেগুন, ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে। বাজারে গাজর ও টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। মিষ্টি আলু ৪০ টাকা, লাল ও নতুন দেশি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা ৩০ টাকা, শিম ২০ টাকা এবং লাউ পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
এদিকে ডাটা ২০-২৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ১৫ টাকা আঁটি। লাল শাক আঁটি ৫ টাকা। পেঁপে ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, জালি কুমড়া পিস ছোট ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০ টাকা।
বাজারে বেড়েছে মুরগির গোশতের দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির কেজি ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির কেজি সাড়ে ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর গোশত প্রতি কেজি ৩৮৫ থেকে ৪২০ টাকা, খাসি ৫৫০ টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে মুরগির ডিমের। এক ডজন ডিম ১০০ টাকা। হালিতে ৩৪ টাকা, হাঁসের ডিম ৪৮ টাকা হালিতে মিলছে।
চলছে ভরা মৌসুম। কৃষকের ঘরে উঠছে ধান। এরই মধ্যে কমে গিয়েছে ধানের দাম। তবে কমেনি চালের দাম। ব্যবসায়ী মাসের শুরুতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করায় দাম বাড়িয়ে এ মাসের শেষে চালের দাম কমানোর আশ্বাস দিলেও ঘটেছে উল্টো। মাসের শেষে আরেক দফা বেড়েছে চালের দাম।
মাছের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে কিছু কিছু মাছের দাম। প্রতি কেজি বড় আকারের কাতল মাছের দাম ৩৬০-৪০০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা, বড় টেংরা ৬০০ টাকা, বাটা ২০০-২২০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৮০-৫৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি। কৈ ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাসের দাম কিছুটা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, তবে বড় পাঙ্গাসের কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। সিলভার কার্প ১৫০-১৮০ টাকা, মাঝারি শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০-২০০ টাকা, মাঝারি আকারের রুই ৩৫০। মাঝারি আকারের জোড়া ইলিশ ১২শ’ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট পুঁটি মাছ কেজি ৪০০ টাকা, বোয়াল ২০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, চিতলের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গছি মাছের দাম আকাশ ছোঁয়াই রয়ে গেছে, কেজি ১২০০ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতারা অসহায়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ