পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজিবুল হক পার্থ : রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। ভরা ধানের মৌসুমে কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে চালের দাম। এক মাসের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়েছে রসুনে। শীতকালিন সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। বড়ছে মুরগী ও ডিমের দাম। ঘটা করে ভোজ্যতেলে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়া হলেও তার প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বাজার কারসাজির অভিযোগ তুলেছে ক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি সরবরাহ কম ও পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খুচরা বাজার দাম বেশি। সরবরাহ সংকট না থাকলেও সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে চাহিদা বাড়ার অজুহাত দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সবজির সরবরাহ কম এবং খুচরা মূল্য বেশি বলেও দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এক মাসের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা রসুন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে দেশি রসুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১১০ টাকা। বর্তমানে তা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গত মাসের শেষের দিকে আমদানিকৃত রসুনের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। যা বর্তমানে বাজারভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি রসুনের মজুদ কম ও বিদেশি রসুন বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে এ কারণে দাম বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
অন্যান্য মুদি পণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা এবং আমদানি করা মোটা মসুর ডাল ১০০ টাকা, মুগ ডাল ১১০ টাকা; দেশি পেঁয়াজ ২৫ টাকা, আমদানি করা মোটা পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা ও মোটা আদা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের ঘোষণা মোতাবেক, প্রতি লিটারে ৫ টাকা করে দাম কমার কথা থাকলেও বাজারে দেখা গেছে সর্বোচ্চ ৪ টাকা করে কমানো হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। লিটার প্রতি ৪ টাকা কমে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৬ টাকায়। কেউ বা ৩ টাকা কমিয়ে নিচ্ছে ৮৩ টাকা। পাম তেলও লিটারে ৩-৪ টাকা কমে পাম তেল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা ও সুপার পাম তেল ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কিছুটা কমানো হলেও কমেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। ৫ লিটারের রূপচাঁদা সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৫ টাকা কমে ৪৫৫ থেকে ৪৫৮ টাকায়; ৫ লিটারের তীর সয়াবিন তেলের দাম ৬-৭ টাকা কমে ৪৫৫- ৪৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, চিচিঙ্গার কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা ও ঢেঁড়স কেজিতে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকায়। গেল সপ্তাহে ৩০ টাকা থাকলেও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, হালি প্রতি লেবু ২০ থেকে ৩৫ টাকা এবং কাঁচামরিচের কেজি ৫০ টাকা। ধনে পাতা কেজি ৬০ টাকা হলেও পুদিনা পাতায় যেন লেগেছে আগুন। কেজি ১৫০ টাকা। কচু ডাঁটা ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা।
যদিও স্থিতিশীল রয়েছে বেগুন, ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে। বাজারে গাজর ও টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। মিষ্টি আলু ৪০ টাকা, লাল ও নতুন দেশি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা ৩০ টাকা, শিম ২০ টাকা এবং লাউ পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
এদিকে ডাটা ২০-২৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ১৫ টাকা আঁটি। লাল শাক আঁটি ৫ টাকা। পেঁপে ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, জালি কুমড়া পিস ছোট ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০ টাকা।
বাজারে বেড়েছে মুরগির মাংসের দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির কেজি ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির কেজি সাড়ে ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর গোসত প্রতি কেজি ৩৮৫ থেকে ৪২০ টাকা, খাসি ৫৫০ টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে মুরগির ডিমের। এক ডজন ডিম ১০০ টাকা। হালিতে ৩৪ টাকা, হাঁসের ডিম ৪৮ টাকা হালিতে মিলছে।
চলছে ভরা মৌসুম। কৃষকের ঘরে উঠছে ধান। এরইমধ্যে কেম গিয়েছে ধানের দাম। তবে কমেনি চালের দাম। ব্যাবসয়ী মাসের শুরুতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করায় দাম বাড়িয়ে এ মাসের শেষে চালের দাম কমানোর আশ্বাস দিলেও ঘটেছে উল্টো। মাসের শেষে আরেক দফা বেড়েছে চালের দাম।
বাজারে মিনিকেট চালের প্রতি কেজি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, লতা চাল ৪২ টাকা, স্বর্ণা ৩৬-৩৮ টাকা, নাজিরশাইল ৫০ থেকে ৫৮ টাকা, আটাশ ৩৬-৪২ টাকা, ঊনত্রিশ ৪০ -৪১ টাকা, পোলাও চাল ৮৫ থেকে ৯০০ টাকা দরে মিলছে। এই বাজার গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি।
মাছের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে কিছু কিছু মাছের দাম। প্রতি কেজি বড় আকারের কাতল মাছের দাম ৩৬০-৪০০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা, বড় টেংরা ৬০০ টাকা, বাটা ২০০-২২০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৮০-৫৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি। কৈ ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাসের দাম কিছুটা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, তবে বড় পাঙ্গাসের কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। সিলভার কার্প ১৫০-১৮০ টাকা, মাঝারি শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০-২০০ টাকা, মাঝারি আকারের রুই ৩৫০। মাঝারি আকারের জোড়া ইলিশ ১২শ’ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট পুটি মাছ কেজি ৪০০ টাকা, বোয়াল ২০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, চিতলের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গছি মাছের দাম আকাশ ছোঁয়াই রয়ে গেছে, কেজি ১২০০ টাকা।
স্থিতিশীল রয়েছে চিনির বাজার। দেশি চিনি প্রতি কেজি ৪০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, প্যাকেটের আটা ২ কেজি ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।