নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ সংস্করণে যেন অপ্রতিরোধ্য নবাগত বসুন্ধরা কিংস। শিরোপার স্বাদ পেতে জয়ের ধারাবাহিকতায় রয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বসুন্ধরা ৩-১ গোলে হারায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে স্থানীয় ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া দু’টি ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস দি সিলভা একটি গোল করেন। জামালের পক্ষে এক গোল শোধ দেন গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড এমিল সাম্বু। এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১২ জয় ও এক ড্র’তে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বসুন্ধরা। সমান ম্যাচে ৩ জয় ও পাঁচটি করে ড্র এবং হারে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে অষ্টমস্থানে নেমে গেল শেখ জামাল।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দিলেও গোল পেতে প্রায় আধঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় বসুন্ধরাকে। তবে শেখ জামাল মাঝে মধ্যে পাল্টা আক্রমণ করে খেলায় ম্যাচ হয়ে ওঠে উপভোগ্য। ম্যাচের প্রথম গোলের সুযোগিটি নষ্ট করে শেখ জামালই। ২৩ মিনিটে তাদের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড এমিল সাম্বু’র লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড বাইরে চলে গেলে হতাশ হতে হয় জামাল শিবিরকে। ক’মিনিট পরেই শেখ জামালের আলি হোসেন গোললাইন থেকে বসুন্ধরার একটি আক্রমণ ফেরান। অবশেষে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোল পায় বসুন্ধরা। এসময় শেখ জামালের ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করেন বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস (১-০)। এই ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় নবাগতরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়েই লড়ে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মতিন মিয়ার শট জামাল গোলরক্ষককের গ্লাভস ছুঁয়ে সাইডবার ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে দ্বিতীয় গোলটি পায়নি বসুন্ধরা। উল্টো ৫১ মিনিটে এক গোল হজম করে বসে তারা। এসময় বাঁ দিক থেকে সলোমন কিংয়ের বাড়ানো বল নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করে শেখ জামালকে সমতায় ফেরান সাম্বু (১-১)। ম্যাচ সমতায় ফেরার পর জোড়া গোল করে বসুন্ধরার জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন মতিন মিয়া। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ইমন মাহমুদের চিপে হেডে গোল করে দলকে ফের এগিয়ে নেন মতিন (২-১)। ৬৩ মিনিটে ডেনিয়েল কলিন্দ্রেস সোলেরার বাড়ানো বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন মতিন (৩-১)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস। লিগের প্রথম লেগে শেখ জামালকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বসুন্ধরা।
এদিন নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে লিগের অন্য ম্যাচে আরেক নবাগত নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয়ের দেখা পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বিজয়ী দলের হয়ে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা ও স্থানীয় ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন একটি করে গোল করেন। এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও দুই হারে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানেই রইলো আবাহনী। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পাওয়া নোফেলের অবস্থান দশমস্থানে। অন্যদিকে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে লিগের তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ৪-১ গোলে হারায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে। বিজয়ী দলের জয়ে মোমোদু বাহ দু’টি এবং কিংসলে চিগোজি ও দিদারুল আলম একটি করে গোল করেন। মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র গোলদাতা ইউসুকে কাতো। এই জয়ে ১৩ ম্যাচে চার জয়, পাঁচ ড্র ও চার হারে ১৭ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার ষষ্ঠস্থানে উঠে আসলো চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তমস্থানে নেমে গেল মুক্তিযোদ্ধা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।