Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন বছরে ৩১ মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে জিনজিয়াংয়ে

রোজা রাখায় মুসলিমদের ওপর দমনপীড়ন চীনে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সারাবিশ্বের মুসলিমরা যখন পবিত্র রমজান পালন করছে, তখন চীনের মুসলিম সংখ্যালঘুরা রোজা রাখা এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করায় তাদের ওপর আবারও দমনপীড়ন শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। দেশটির মুসলিম প্রধান পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে এই দমনপীড়ন করা শুরু হয়েছে। মুসলিমদের ধর্মীয় কার্যক্রম বন্ধ করতে তাদের বাড়িতে বারবার অবস্থান নিচ্ছে চীনের কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম এবিসি। রমজান মাসে মুসলিমরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনও কিছু খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকে। এদিকে গত সপ্তাহের শেষদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক রিপোর্টে বলা হয়, রোজা রাখার পাশাপাশি দাড়ি রাখা, মাথায় কাপড় দেয়া, নিয়মিত নামাজ আদায় এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলাসহ ধর্মীয় বিষয়গুলোকে চীনের কর্তৃপক্ষ চরমপন্থার চিহ্ন মনে করছে। অপর দিকে, গত তিন বছরে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ৩১টি মসজিদ ও দুটি ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান এবং ওপেন সোর্স সাংবাদিকতার ওয়েবসাইট বেলিংক্যাটের এক তদন্তে এমন তথ্যই ওঠে আসে। ওই তদন্তে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইসলামি ধর্মীয় স্থাপনাকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। স্যাটেলাইট ইমেজের সাহায্যে স্বায়ত্তশাসিত ওই অঞ্চলের ৯১টি ধর্মীয় স্থান পরীক্ষা করে দেয়া হয়। সেখানে দেখা যায়, গত তিন বছরে ৩১টি মসজিদ ও দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাজারের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ওই ৯১টি স্থাপনার মধ্যে ৩৩টি ‘পুরোপুরি বা প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস’ করা হয়েছে, আর অন্যগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-গেটহাউজ, গম্বুজ ও মিনার। তদন্তে আরও দেখা গেছে, ধর্মীয় স্থাপনার স্বাভাবিক স্থাপত্যের বৈশিষ্ট না থাকলেও মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ৯টি ভবনও ধ্বংস করা হয়েছে। স্থাপনাগুলোর বিশ্লেষণ করা হয় অধিবাসীদের এবং গবেষকদের ম্যাপিং সরঞ্জাম সমন্বয় করে। ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদগুলোর মধ্যে ইউটিউয়ান আইতিকা মসজিদটি অন্যতম। এই মসজিদটি চীনের সীমান্তের উত্তরে হটানের কাছে অবস্থিত। এটি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়। এই মসজিদটি স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল। গার্ডিয়ান, এবিসি।



 

Show all comments
  • রিফাত ৯ মে, ২০১৯, ১০:১৬ এএম says : 0
    এখন বিশ্ব মানবতাবাদিরা কোথায় ?
    Total Reply(0) Reply
  • শাহাদাৎ হোসাইন ৯ মে, ২০১৯, ১০:২৪ এএম says : 0
    মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ নয় বিধায় সারা বিশ্বে তারা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • ইকবাল হাসান ৯ মে, ২০১৯, ১০:২৫ এএম says : 0
    আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিবাদ জানাই
    Total Reply(0) Reply
  • রিমন ৯ মে, ২০১৯, ১০:২৭ এএম says : 0
    আর কত নির্যাতনে স্বীকার হলে মুসলীম নেতাদের ঘুম ভাঙ্গবে, তারা প্রতিবাদ করবে ?
    Total Reply(0) Reply
  • আজিমুন্নেসা ৯ মে, ২০১৯, ১০:২৮ এএম says : 0
    আল্লাহ তুমি সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি রহমত নাযিল করো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ