গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দুর্নীতির মামলায় এক বছরেরও বেশি সময় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জেলজীবন নিয়ে পেনসিলের আঁকা বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যম বেনার নিউজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা নিয়ে রীতিমত চলছে সমালোচনা, মন্তব্য, বিশ্লেষণ। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে এ নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি তর্ক-বিতর্ক।
বেনার নিউজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তাতে বাধা দিয়েছেন। কারাগারে যাওয়ার পর ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার কোনো আলোকচিত্র কিংবা ছবি প্রকাশ করা হয়নি। শারীরিক দুর্বলতার জন্য মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন খালেদা জিয়া।
বেনার নিউজ দাবি করছে, বিএনপি এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে খালেদা জিয়ার কারাজীবন নিয়ে স্কেচ তৈরি করেছেন ইলাস্ট্রেটর রেবেল পেপার। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হচ্ছেন একমাত্র খালেদা জিয়া। একসময় সেখানে কয়েক হাজার বন্দি ছিলেন। কারাগারে তার পাশের কক্ষেই থাকেন তার ব্যক্তিগত পরিচারিকা ফাতেমা।
ফেসবুক ব্যবহারকারী রাকিবের মন্তব্য, ‘‘যে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হচ্ছে । মন্ত্রী এমপিরা আংগুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। শেয়ার বাজার ধংস করেছে রাঘব বোয়ালরা সেই দেশে কথিত দুর্নীতির দায়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জেলে থাকাটা অমানবিক দেখায় নোংরা রাজনীতির বহিপ্রকাশ।’’
একেএম আসাদ লিখেছেন, একজন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা নারী যিনি তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাকে যেভাবে ধুকেধুকে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, নিশ্চয়ই একদিন একদিন গোটা জাতিকে হয়ত তা শোধ করতে হবে।’’
খান নাঈম লিখেছেন, ‘‘যারা এমপি হয়েছেন তাদের উচিৎ আন্দোলন গড়ে তোলা। সংসদে যাওয়ার কথা না ভেবে বেগম খালেদা জিয়া কে মুক্ত করার জন্য সবাই কে একজোট হয়ে রাজপথে নামা। এরা যদি নামে তাহলে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে বলে আমি মনে করছি।’’
বিএনপি সমর্থক ফিরোজ খান মন্তব্য করেন,‘‘নেত্রী তো তাকেই বলে যাকে নিয়ে সারা বিশ্বের পত্রিকায় হেডলাইন হয়, "নেত্রী তো তাকেই বলে যাকে নিয়ে বই লেখা হয় "।বাংলাদেশের ভালবাসার প্রতীক দেশ মা খালেদা জিয়া।’’
‘‘দেশ ও জাতির স্বার্থে শত নির্যাতন নিপীড়নের পরও অসুস্থ শরীর নিয়ে ৭৫ ঊর্ধ্ব একজন নারী জালিমের সাথে বিন্দু পরিমাণ আপোষ করেননি।এটাই হবে আগামীতে বিশ্ব রাজনীতির নতুন ইতিহাস। আল্লাহ বেগম খালেদা জিয়াকে,সুস্থতা দান করুন,’’ লিখেছেন জাকারিয়া রাশেদ।
রবিউল আওয়াল সরকার লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’’ শহীদ রহমান লিখেছেন, ‘‘ইন্দোনেশিয়ার পত্রিকায় খালেদা জিয়ার ছবি ভেষে উঠায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, শীঘ্রই আমরা আন্দোলনে নামবো।’’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে সামিয়া লেসি মন্তব্য করেন, ‘‘প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দীর্ঘ এক বছরের উপরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। মুক্তির দাবি যানাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। জুলুমকারিদের আল্লাহ হেদায়েত দান করুক।’’
‘‘বড়ই অমানবিক এই সমাজ আর ক্ষমতার লোভ। তিনি কি এই দেশের মানুষের জন্য কোন অবদান রাখেননি, আগামির ইতিহাস বলবে সেই কথা। শুধু অপেক্ষা..’’ লিখেছেন ফাহিম মনির।
২০১৮ সালে তারা পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর বছর দুয়েক আগে ২০১৬ সালে সেটি খালি করে বন্দিদের একটি নতুন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারে প্রশাসনিক ভবনের প্রথম ফ্লোরেই খালেদা জিয়ার থাকার জায়গা। তিনি ১০ ফুট লম্বা ও আট ফুট চওড়া একটি কক্ষে থাকেন।
ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি প্রসঙ্গে ফেসবুক ব্যবহারকারী হাসিব হোসাইন লিখেছেন, ‘‘বেদনাদায়ক ছবি। বুকের ভিতর থেকে কষ্টে চোখে পানি এসে পড়লো। মহান আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করি যাতে প্রিয় নেত্রীকে মুক্তি পাওয়ার ফয়সালা করে দেন।’’
আক্ষেপের সাথে রাহুল আমিন লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি হয় বলেই দেশের এই অবস্থা, তা না হলে দেশের আরোও অনেক উন্নতি হতো, দেশে হাজার কোটি টাকা চুরের বিচার হয় না, কিন্তু তিন বারের জনগণের ভোটের প্রধানমন্ত্রী সে নাকি এতিমের টাকা মেরে খাবে, এটাও বিশ্বাস করতে হয়!!!’’
সাইফুল্লাহ সাইফ মন্তব্য করেছেন, ‘‘শেখ হাসিনার এমন ছবি যে আঁকবেনা কোনো এক সময়, তার নিশ্চয়তা কি!! সম্মান-অপমান, ভালো-মন্দ সবই আল্লাহর হাতে। আল্লাহ তায়ালা ই ভালো যানেন কখন, কোথায়, কাকে, কিভাবে সম্মানিত করবেন অথবা অপমানিত করবেন।’’
‘‘ক্ষমতার আর্তঅহংকার দাপট দেখিয়ে যারা জুলুম নিজ্জাতন লিপ্ত তারা এই দৃশ্যটা একবার দেখুন। ক্ষমতা কারো চিরস্থায়ী নয়’’ মন্তব্য করেন আলী আকবার।
নজরুল ইসলাম শুভ মন্তব্য করেন, ‘‘সব কিছুর বিচার একদিন আল্লাহ নিজেই করবেন,সেদিন আল্লাহকে ঘুষ দিয়ে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানানো যাবেনা,, সব বিচারকের বড় বিচারক আমার আল্লাহ! অপেক্ষা করুন মৃত্যুর পর সেই বিচার দিবসের জন্য।’’
তবে বিরূপ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সমর্থক বিলাল হুসাইন কুরাইশ লিখেছেন, ‘‘চিন্তা করছি খালেদা জিয়া এত সুবিধা নিয়েও জেলে থাকতে পারছে না সাধারণ কয়েদিদের তাহলে কি অবস্থা হয়। এই দেশে নাকি সবার সমান অধিকার আইন নাকি সবার জন্য সমান।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।