Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেছারাবাদ হাসপাতালে রোগীদের কথা শোনেনা অতিলোভী নার্সেরা

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৫৭ পিএম

নেছারাবাদের সরকারি হাসপাতালের গুটিকয়েক অসাধু নার্সদের অবহেলায় বেশির ভাগ প্রসূতি রোগীরা সেবার জন্য ছুটছেন বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে। যে কারণে উপজেলার অধিকাংশ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের আয়ের সিহং ভাগই আসে সিজারিয়ান অপারেশন থেকে। এজন্য রাতা-রাতি টাকার বনে যাচ্ছেন হাসপাতালের ‎চিহ্নিত গুটি কয়েক দালাল সহ কতিপয় অসাধু স্টাফ নার্সরা। নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান সম্ভব প্রসূতি মায়েরা হাসপাতালের নার্সদের দেওয়া আকার ইঙ্গিতে ভয়ভীতি ও দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সরকারী সেবা ছেড়ে নির্ভয়ে সেবাদান নিতে ছুটছেন ক্লিনিকে। এতে করে একদিকে যেমনি তারা খোয়াচ্ছেন টাকাপয়সা তেমনি বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি হাসপাতালের সেবা দান থেকে।

নাম না প্রকাশ শর্তে নেছারাবাদ হাসপাতালের এক ডাক্তার বলেন, নার্সরা আমাদের মত স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের নয়। তারা হল পরিসেবা অধিদপ্তরের। তাদের আমরা হুকুম দিয়ে সন্তোষজনক কিছু করাতে পারছিনা। তাছাড়া তাদের হাসপাতালের ইনডোরে রোগী দেখতে গেলেই কোন নার্সকে যদি বলি রোগীর প্রেসারটা দেখেন। অমনি নার্সদের চোখ মুখ কুচকে উঠে। তখন অনেক সময় প্রয়োজনে আমরাই বাধ্য হয়ে করি। কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীর সাথে লোকেরা নার্সদের কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলেই নার্সরা রোগী না দেখেই সরাসরি আমাদের(ডাক্তারদের) উপর চাপিয়ে দেন। কোন প্রসূতি মায়েরা হাসপাতালে ডেলিভারির জন্য ভর্তি হলেই রোগী ভাগিয়ে ক্লিনিকে নিতে সদা তৎপর থাকেন তারা। আর যদি কোন প্রসূতি মায়েদের আর্থিক অবস্থা একেবারে সংকটপূর্ণ হলে কোন রকমে ডেলিভারি করেই রোগীর কাছ থেকে বকশিস নেওয়া তৎপরতায় বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করছেন নার্সেরা। নাম প্রকাশ শর্তে হাসপাতালের এক সিনিয়র স্টাফ নার্স মুঠো ফোনে বলেন, আমি সহ হাসপাতালের কয়েকজন সিনিয়র নার্স হাসপাতালের ভর্তিকৃত প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারি করে থকি। হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়লেই অনেক সময় ক্লিনিক মালিক, সিজারিয়ান ডাক্তার সহ তাদের পোষ্য দালালদের গায়ে জ্বালা ধরে। প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারির কারণে অত্র হাসপাতালের সিজারিয়ান ডাক্তারদের রোষানলে পড়তে হয় তাদের। যে কারণে হাসপাতালের ওইসব ডাক্তার ও তাদের পোষ্য দালালরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ট্রন্সফারে জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকেন। তবে হাসপাতালের কিছু কিছু অতিলোভি নার্সদের খামখেয়ালিপানা চিকিৎসা জনিত কারনে আমাদের(অভিজ্ঞ নার্সদের) সমস্ত সেবাই ম্লান হয়ে যায়।
নাম না প্রকাশ শর্তে হাসপাতালের কয়েকজন জুনিয়র নার্স বলেন, অত্র হাসপাতালের কয়েকজন সিনিয়র ও স্থানীয় নার্সরা কর্তব্যকালীন অনেক সময়ই হাসপাতালে আসেন না। হাজিরা খাতায় সহি করে তারা ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন ডায়গনষ্টিক ও প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে। এ জন্য মাজে মাঝে তাদের ডিউটিও পালন করতে হয় জুনিয়র নার্সদের।
হাসপাতালের পঃপঃ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তানভীর আহম্মেদ সিকদার বলেন, নার্সদের কথার মত কথা বললে অব্যশই তারা শোনেন। কোন নার্সদের ব্যপারে অভিযোগ থাকলে আমাদের লিখিত জানাতে হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নেছারাবাদ

১১ ডিসেম্বর, ২০২১
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ