মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার হওয়া বিলকিস বানোকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপ‚রণ দিতে নির্দেশ দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তার হাতে এই টাকা তুলে দিতে হবে। একই সঙ্গে তাকে সরকারি চাকরি এবং বাসস্থানের ব্যবস্থাও করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গুজরাত সরকারকে।
গুজরাতের দাহদের বাসিন্দা বিলকিস বানো। গোধরা কান্ডের পর রাজ্য জুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে, ২০০২ সালের ৩ মার্চ গ্রাম ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিল তার পরিবার। কিন্তু আমদাবাদের কাছে রন্ধিপুর গ্রামে দাঙ্গাবাজদের হাতে পড়ে যান তারা। সেখানে গণধর্ষণ করা হয় বিলকিস বানোকে। তার পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। রেহাই পায়নি তার তিন ৩ বছর দু’মাস বয়সী মেয়ে সালেহাও। পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় তাকে। এই ঘটনায় ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় আদালত।
এর আগে, মার্চ মাসে মামলার শুনানি চলাকালীন বিলকিস বানোকে ৫ লাখ টাকার ক্ষতিপ‚রণের প্রস্তাব দিয়েছিল গুজরাত সরকার। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বিলকিস। যার পর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘দোষীদের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু চরম উন্মত্ততার সাক্ষী থাকা বিলকিস বানোকে ছেড়ে দেওয়া হয় রাস্তায়।’ আদালত আরও বলে, ‘২১ বছরের বিলকিসকে শুধুমাত্র ২২ বার ধর্ষণই করা হয়নি, নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল তার তিন বছর দু’মাসের মেয়েকেও। তার পর থেকেই যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বিলকিস। এখন তার ৪০ বছর বয়স। তার পরিবারের আর কেউ বেঁচে নেই। পড়াশোনাও তেমন জানেন না। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দয়ায় বেঁচে রয়েছেন।’
রাজ্যের পাঁচ পুলিশ অফিসার তদন্ত বিপথে চালিত করার চেষ্টা চালান বলে এর আগে বম্বে হাইকোর্টে অভিযোগ করেছিলেন বিলকিস বানো। কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তা নিয়ে এ দিন বিলকিস বানোর আইনজীবী আদালতে জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন অফিসার অবসর নিয়েছেন। এ বছর জুন মাসে অবসর নেওয়ার কথা পঞ্চম অভিযুক্ত, আইপিএস অফিসার আরএস ভাগোরার। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি তাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে গুজরাত সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অবসরপ্রাপ্ত চার অফিসারের পেনশন আটকে দেওয়া হয়েছে এবং আরএস ভাগোরার পদের অবনতি হয়েছে বলে আদালতে সাফাই দিয়েছে গুজরাত সরকার। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।