নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের সর্ব বৃহৎ ক্রীড়া আসর বাংলাদেশ গেমস আয়োজনে সম্মতি দিয়েছেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্যটি সোমবার বিকেলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন বিওএ সভাপতি, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। এ সময়ই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ গেমস আয়োজনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেন বিওএ কর্তাদের।
আগামী ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসরের খেলা। তবে আয়োজক নেপাল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ডিসেম্বরের শুরুতে গেমস হবেই। এসএ গেমস আয়োজন নিয়ে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে বিওএ’র। তাই তারা তাদের সর্বশেষ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে এসএ গেমস না হলে বিওএ আয়োজন করবে বাংলাদেশ গেমস। কাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি তাকে অবহিত করেন বিওএ সভাপতি-মহাসচিব। এ প্রসঙ্গে বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন,‘এসএ গেমস নির্দিষ্ট সময়ে না হলে আমরা বাংলাদেশ গেমস করতে চাই, বিষয়টি আমরা জানিয়েছি প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি আমাদের সম্মতি দিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ এই গেমস করবো তা ঠিক করিনি। সেটা ঠিক করবো নেপালের সিদ্ধান্তের পরে। তারা যদি এসএ গেমস না করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলেই আমরা তোড়জোড় শুরু করবো বাংলাদেশ গেমস আয়োজনের। তাই আপাতত প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে রাখলাম।’ বিওএ মহাসচিব আরো বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের অনুশীলনের ব্যাপারে আমাদের গুরুত্ব দিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, টাকার কোনো সমস্যা হবে না। আমরা যেন খেলোয়াড়দের বছরব্যাপী অনুশীলনে রাখি।’
দেশের খেলাধুলা উন্নয়নের জন্য আগামী বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন বিওএর সভাপতি ও মহাসচিব। বিওএ’র দুই কর্তার এ সাক্ষাতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরে অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণ ও বিদেশে দল পাঠানোসহ নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। আগামী বছর জাপানে অনুষ্ঠিতব্য টোকিও অলিম্পিক গেমসে আয়োজকদের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিওএ কর্মকর্তারা সেই আমন্ত্রণের কথাও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।