পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টনসিল অপারেশনের পর মৃত জেনেও ৬ বছর শিশুকে অন্যত্র রেফার্ড করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। তার আগে ওই শিশুর পিতার কাছ থেকে চিকিৎসক অপারেশন বাবদ সাড়ে ১১ হাজার টাকা বুঝে নেন। টাকা নিয়েই নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার্ড করেন। অমানবিকভাবে এ ঘটনা ঘটেছে বগুড়া শহরের মালেকা নার্সিং হোমে।
গত সোমবার রাতে এই ঘটনার কথা জেনে বিক্ষুব্ধ লোকজন ক্লিনিকে হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। জানা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকার কায়েম গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী হুমায়রা আক্তারের গলার টনসিল চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় আসেন তার বাবা মা। দালাল মারফত সোমবার সকালে তার বাবা কৃষক হারুনুর রশিদ ও মা সাহেদা এবং মামা আলমগীর তালুকদার মালেকা নার্সিং হোমে ভর্তি করেন।
বিকালে শিশুকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে একজন এনেসথেসিয়াসিস্ট তাকে অজ্ঞান করে। আধাঘণ্টা পর কন্ট্রাক্টে কল করে আনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. এম সাইদুর রহমান শিশুটির টনসিল অপারেশন শেষ করে স্বজনদের জানান, অপারেশন সাকসেসফুল। অপারেশনের পর শিশু হুমায়রাকে জেনারেল বেডে এনে রাখার পর তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ দেখে বাবা-মা ও স্বজনরা উদ্বিগ্ন বোধ করেন।
বারবার ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের আশ্বস্ত করে বলা হয়, সব ঠিক আছে অপারেশনের বিল জমা দিন। তবে বিল নেওয়ার পর শিশুটির অবস্থা খারাপ এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিরাজগঞ্জের খাজা এনায়েতপুর মেডিক্যালে নিতে হবে মর্মে রেফার্ড করা হয়। এই ঘটনায় হতভম্ব হুমায়রার বাবা মা ও মামা তাকে নিয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, এখানে এসছেন কেন দ্রুত জিয়া মেডিক্যালে যান। হুমায়রাকে জিয়া মেডিক্যালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলেন, শিশুটি অনেক আগেই মারা গেছে।
এরপর শিশুটিকে পুনরায় মালেকা নার্সিং হোমে ফিরিয়ে এনে তার বাবা মা কান্নাকাটি করে অভিযোগ করতে থাকেন তাদের মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। এতে লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। ১১টার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন ক্লিনিক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। ভয়ে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা গোপনে ক্লিনিক ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এনেসথেসিয়ার কাজ করেছে কে জানতে চেয়েও জানতে পারেনি পুলিশ। মাঝরাতে অবশ্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে মিমাংসার কাজ সেরে নিয়েছে বলে শোনা গেছে।
এই ঘটনায় মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার বগুড়ার সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান বলেন, কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করলে আইনী পদক্ষেপ নিতে অগ্রসর হবে। একই কথা বলেছেন বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সামির হোসেন মিশু। তিনি বলেন, অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর থেকে ডা. সাইদুর রহমান মোবাইল বন্ধ রাখায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।