পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের মাটিতে প্রবেশ করে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়ার দাবি প্রমাণ করতে না পেরে যেমন ভারত নাজেহাল হয়েছে তেমনি দেশটির গালে থাপ্পড় মেরে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে দেয়া এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের সবগুলোই অক্ষত আছে, একটিও খোয়া যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্কিন গণনায় পাওয়া গেছে, পাকিস্তানকে দেয়া এফ-১৬ জঙ্গি বিমানগুলোর কোনোটিই ‘অনুপস্থিত’ নয় এবং সব বিমান ‘উপস্থিত এবং হিসেবে সঠিক’ ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বক্তব্য ২৭ ফেব্রæয়ারি পরস্পর যুদ্ধ চলাকালে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার ভারতের দাবির ‘সরাসরি বিপরীত’।
ভারতীয় বিমান বাহিনী গত ২৮ ফেব্রæয়ারী অ্যামরাম ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা প্রদর্শন করে যেটি পাকিস্তানী এফ-১৬ থেকে ছোড়া হয়েছিল বলে ভারত প্রমাণ হিসাবে পেশ করে। পাকিস্তান স্পষ্টভাবে বলেছিল যে, কোনো এফ-১৬ জঙ্গি বিমান ব্যবহার করা হয়নি এবং অস্বীকার করা হয়েছে যে, এগুলোর একটি ভারতীয় বিমান বাহিনী ভূপাতিত করেছিল। ফরেইন পলিসি ম্যাগাজিনের মতে, পাকিস্তান বৈদেশিক সামরিক বিক্রয় চ‚ড়ান্ত করার সময় স্বাক্ষরিত একটি আন্তঃব্যবহারকারী চুক্তির অংশ হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার এফ-১৬ বিমানগুলি সরেজমিনে গণনা করতে আমন্ত্রণ জানায়।
পত্রিকাটির লারা সেলিগম্যানের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন গণনায় পাওয়া গেছে যে, পাকিস্তানের সব এফ-১৬ বিমান উপস্থিত রয়েছে এবং ফেব্রæয়ারির সংঘর্ষের সময় এর একটি জঙ্গী বিমান গুলি করে নামানোর ভারতীয় দাবি অসার।
নাম প্রকাশ না করা এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে বলেছেন, পাকিস্তানে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান গণনা শেষ হয়েছে এবং ‘সমস্ত বিমান উপস্থিত ছিল এবং হিসাবমতো ছিল’।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের গণনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।