বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল (বুধবার) সকাল ৯টায় রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। কাজী আসাদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
হলি ফ্যামিলিতে মরহুম কাজী আসাদের প্রথম জানাযা শেষে তার লাশ আনা হয় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে দলের নেতারা দলীয় পতাকা দিয়ে তার কফিন ঢেকে দেন। সেখানে যোহরের নামাজের পর জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন।
জানাযার নামাজ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দলের সিনিয়র নেতারা কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ সংগঠনের নেতারাও মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
কাজী আসাদের পরিবার থেকে জানানো হয়, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় নিজের গ্রামে বিকালে জানাজা শেষে সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
১৯৭৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছাত্রদল প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাজী আসাদুজ্জামান আসাদকে আহ্বায়ক করে প্রথম কমিটি গঠন করেন। ১৯৮০ সালে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল প্রতিষ্ঠার পর একবার এই সংগঠনেরও দায়িত্বে ছিলেন কাজী আসাদ। বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন কাজী আসাদ। সর্বশেষ তিনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।