নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই আলো ছড়ালেন স্বাগতিক গলফার মোহাম্মদ মুয়াজ। অন্যদিকে দিনের শুরুটা বাজে হলেও শেষটা ভালো হয়েছে দেশসেরা গলফার সিদ্দিুকর রহমানের।
বুধবার দুপুরে কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে দুপুরে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে উদ্বোধন হয় এশিয়ান ট্যুরের আসর বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামকরণে আন্তর্জাতিক এই গলফ টুর্নামেন্টে খেলছেন ২২ দেশের ১৪৬ জন গলফার। যার মধ্যে বাংলাদেশের ৪০ জন পেশাদার ও ৬ জন অ্যামেচার গলফার রয়েছেন। সাড়ে তিন লাখ ডলার প্রাইজমানির এ প্রতিযোগিতার প্রথম দিন বুধবার দিনশেষে লিডারবোর্ডের দু’নম্বরে উঠে এসেছেন মুয়াজ। দিনটিকে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা বলেই অভিহিত করলেন পেশাদার এই গলফার।
তবে বাজে শুরুই হলো দু’বারের এশিয়ান ট্যুর জয়ী সিদ্দিকুরের। প্রথম নয় হোলে মাত্র ১টি বার্ডি করেন তিনি। পরের নয় হোলে ঘুরে দাঁড়িয়ে চারটি বার্ডি করেন এই গলফার। আর মুয়াজ প্রথম রাউন্ডে সাতটি বার্ডি ও একটি বোগি করেন। পারের চেয়ে ছয় শট কম খেলেছেন তিনি। আর পাঁচটি করে বার্ডি করেছেন সিদ্দিকুর ও সজীব আলি। পারের চেয়ে পাঁচ শট কম নিয়ে আরো তিন জনের সঙ্গে যৌথভাবে সপ্তমস্থানে রয়েছেন এ দু’জন। স্বাগতিকদের মধ্যে প্রথম রাউন্ডে আকবর হোসেন ও মোহাম্মদ নাজিম পারের চেয়ে চার শট কম খেলে যৌথভাবে দ্বাদশ স্থানে আছেন।
বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেনে বলতে গেলে স্বাগতিকদের সেরা চমক মুয়াজ। তৃতীয় পারে বল হোলে ফেলেই উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন তিনি। অভিনন্দনও কুড়িয়ে নেন দর্শকদের কাছ থেকে। পরে বল উচিয়ে ধরে প্রমাণ করেন, প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকদের মধ্যে তিনিই সেরা। আগে তিনটি এশিয়ান ট্যুর খেললেও এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা। মুয়াজ বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। এটা কুর্মিটোলায় আমার সেরা রাউন্ড। এর আগে কখনই এত ভালো ফল হয়নি।’ সাভার গলফ ক্লাবে বলবয় ছিলেন মুয়াজ। ছোটবেলা থেকে খেলেছেন কুর্মিটোলায় এসে। তার কথায়, ‘এখানকার সব টুর্নামেন্টেই খেলে থাকি আমি। অথচ এশিয়ান ট্যুরের কোনটিতেই কাট পাইনি। চেষ্টা করব সামনের রাউন্ড গুলোতে ভালো করার।’
বলবয় থেকে এক সময় ক্যাডি হিসেবে কাজ করে প্রো পেয়েছেন মুয়াজ। বাংলাদেশ প্রোফেশনাল গলফ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএ) শুরু থেকেই খেলছেন তিনি। মুয়াজ বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে খেলে সাভারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। চট্টগ্রামেও শিরোপা জিতেছি। রানার্সআপ ট্রফিও ঘরে রয়েছে বেশ ক’টি। এই কোর্সে (কুর্মিটোলা) এখন সব সময় খেলা হয় না। সাভার কোর্স সব সময় ওপেন থাকে। সেখানেই অনুশীলন করি।’ গলফ মানসিক খেলা। এ প্রসঙ্গে মুয়াজ বলেন, ‘মানসিক চাপটা নিতে পারছি না। এক শট খারাপ খেললেই দেখা যায় মাথা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর কাম ব্যাক করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। ভালো খেলতে হবে এই চিন্তা করতে গিয়ে আরো বাজে খেলে ফেলি। আগের সেরা রেজাল্ট ছিল পারের চেয়ে দু’শট কম। সেটা ৭২ পারের কোর্সে। এখন ৭১ পারের কোর্সে ৬ শট কম এটা অনেক ভালো রেজাল্ট। এমন ফল কল্পনাতেও ছিল না। কাট পাওয়ার টার্গেট নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেছি। কিছুটা মানসিক চাপও ছিল। দেখি কাল কি হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।