বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘আমাদের স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক হতে পারছি না। আমাদের প্রাচুর্য নেই কিন্তু বিরাট সুখ ছিল’-মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবের যশোর ব্যুরো অফিসে কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বললেন ঢাকার বনানীর এফআর ভবনে আগুন লেগে নিহত শেখ জারিন তাসনিম বৃষ্টির শ্বশুর যশোর শহরের কাজীপাড়ার শেখ ইরাদুল নূর। তার ছেলে কাজী শাদ নূর স্ত্রীকে হারিয়ে এখনো নির্বাক। বৃষ্টি ও নূরের দু’টি পরিবারের কান্না থামছে না। স্বাভাবিক হতে পারছেন না তারা। চাকরীর কারণে ঢাকায় থাকলেও বৃষ্টি ও নূর দু’টি পরিবারের লোকজনের সাথে প্রায় প্রতিদিনই কথা বলতেন। প্রাণবন্ত মেয়েটি সারাদিন বাসা মাতিয়ে রাখতেন। সেসব কথা মনে পড়ছে আর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির ব্যাপক উপস্থিতি ছিল ফেসবুকে। গত ১১ মার্চ স্বামী এবং তার একটি যুগল ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘চলো না দীঘার সৈকত ছেড়ে ঝাউবনে. ছায়ায় ছায়ায়...শুরু হোক পথচলা. শুরু হোক কথা বলা...। না, আর কোনদিন কথা বলবেন না বৃষ্টি।
বৃষ্টি এফআর ভবনের ১২তলায় ইউরো সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগে চাকরি করতেন। ভবনে আগুন লাগার পর তিনি তার স্বামী কাজী শাদ নূরকে মোবাইলে ফোন দিয়ে ঘটনার কথা জানান। স্বামী তাকে ছাদে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেছিলেন, ধোঁয়ায় কোন দিকে যাওয়া যাচ্ছে না। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ওটিই ছিল শেষ কথা। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বৃষ্টির পিতার বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া বনানি সড়কে। পিতা শেখ মুজাহিদুল ইসলাম মোটর পার্টস ব্যবসায়ী। কাজী শাদ নূর ঢাকার খিলক্ষেতে হোটেল রিজেন্সিতে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে চাকরি করেন। দম্পতিটি থাকতেন খিলক্ষেতেই। বৃষ্টির মা নিনা ইসলামেরও কান্না থামছে না। তার দুই মেয়ের মধ্যে বৃষ্টি ছিল ছোট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।