পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়া ইস্যুর মীমাংসা করা হবে এবং সেটি হবে সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে। এমন কথাই বললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। শনিবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। তুরস্কের ইংরেজী দৈনিক ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, ঐতিহাসিক রাজধানী ইস্তাম্বুলে একে পার্টির ওই সমাবেশে এরদোগান বলেন, দক্ষিণ সীমান্তে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি গড়ার কোন সুযোগ আমরা দেবন না। তিনি বলেন, তুরস্ক এ বিষয়ে সরাসরি অ্যাকশনে যাবে। কোন আলোচনা কিংবা সংলাপ নয়। নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে এরদোগান বলেন, ‘নির্বাচনের পর প্রথম কাজ হলো- আমরা নিশ্চিতভাবে সিরিয়া ইস্যুর সমাধান করব মাঠে, টেবিলে নয়।’ সিরিয়ার তুর্কি সীমান্ত অঞ্চলে কুর্দিপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠি পিকেকে সিরীয় শাখা ওয়াইপিজিরর ঘাঁটি। তুরস্ক পিকেকে ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা গড়ে। গোষ্ঠিটি তুরস্কের অভ্যান্তরে বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। এই গোষ্ঠিটিকে দমন করতেই সরাসরি অ্যাকশনে নামার হুঙ্কার দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এর আগে কুর্দিদের বিপক্ষে উত্তর সিরিয়ায় দু’দফা সামরিক অভিযান চালিয়েছিল তুরস্ক। ২০১৬ সালে অপারেশন ইউফ্রেটাস শেইল্ড ও ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চালানো হয়েছে অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ। দুটি অভিযানেরই লক্ষ্য ছিলে ওয়াইপিজি ও আইএস দমন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বরবারই বলছেন, তুরস্কের সীমান্তে উগ্রবাদীদের কোন ঘাঁটি গড়তে দেয়া হবে না। সেটি অন্য দেশের ভূখন্ডের হলেও। আর এজন্যই সিরীয় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তারা সিরিয়ার আফরিন এলাকায় বড় ধরেন সামরিক অভিযান চালায় গত বছর জানুয়ারিতে। ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।