গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক সড়কের এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন ৪ ঘণ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিটের পাশাপাশি কাজ করছে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার, নৌবাহিনীরও একটি ইউনিট। কিছুক্ষণ আগে যোগ দিয়েছে (৪টার দিকে) সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটও। এছাড়াও পুলিশের সদস্যরা এসে আশপাশে উৎসুক লোকজনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেণ।
এরই মধ্যে আনা হয়েছে বেশ কয়েকটি ক্রেন। ভবনের কাঁচ ভেঙে অনেকে সাহায্যের আবেদন করছেন। তাদের মধ্যে ক্রেন দিয়ে বেশ কয়েকজনকে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার পৌনে ১টার দিকে ভবনটির নবমতলা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। ফারুক টাওয়ার নামেও পরিচিত ভবনটির তৃতীয় তলায় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস, বায়িং হাউজ, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন । ভবনটির সঙ্গে লাগানো আরো কয়েকটি সুউচ্চ ভবন রয়েছে। সেগুলোতেও ক্রমেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে।
ভবনটির দেয়াল বেয়ে নামা বিভিন্ন ক্যাবল দিয়ে নামার চেষ্টার সময় বেশ কয়েকজন পড়ে গেছেন। পড়ে গিয়ে আহত অনেককেই উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এখানে বিপুল পরিমাণ উৎসকু জনতা উপস্থিত হয়েছেন। অনেকেই মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছেন। এর ফলে উদ্ধার কাজে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যদিকে পানিরও বেশ সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। আশপাশের ভবনগুলো থেকে এবং ওয়াসার পানি সাপ্লাইগুলো পানি সরবরাহ করছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।
বনানীর এই এলাকটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে আশপাশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে সহযোগিতা করছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় লোকজনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।
ভবনটির বিভিন্ন তলা থেকে কাঁচ ভেঙে তাদের বাঁচানোর আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা নাকে মুখে তোয়ালে দিয়ে ধোঁয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। তবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের দেখা গেলেও পরে আর দেখা যায়নি।
উদ্ধারে কাজ করছে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার। প্রথমে হেলিকপ্টার থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও ভবনের মাঝবরাবর অগ্নিকান্ডের ঘটায় তার সুফল তেমন পাওয়া যায়নি। পরে হেলিকপ্টারগুলো থেকে পাশের ভবনের ছাদ থেকে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে। এখনো উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।